গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
এদিন সন্ধ্যায় বিরোধী দলনেতা তথা কংগ্রেস পরিষদীয় দলনেতা আব্দুল মান্নান এবং সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীরা দিল্লির মোদি-মমতা বৈঠকের দিকে তীক্ষ্ণ নজর রেখেছিলেন। বৈঠকের পর সংবাদমাধ্যমের সামনে মমতার বক্তব্য মন দিয়ে শোনেন তাঁরা। এনআরসি নিয়ে মিডিয়ার প্রশ্ন শুনে যেভাবে মুখ্যমন্ত্রী বিষয়টি এই মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গের ইস্যু নয়, তাই এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কোনও আলোচনা করেননি বলে মন্তব্য করেন, তাতে একই সঙ্গে বেজায় আশ্চর্য ও ক্ষুব্ধ হন তাঁরা। তারপরই নিজেদের মধ্যে এক দফা আলোচনা করে এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া দেন তাঁরা। চাঁচাছোলা ভাষায় তাঁরা আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রীকে।
মান্নান-সুজন একসুরে বলেন, অসমের মতো এ রাজ্যেও এনআরসি চালু করার কথা বলে নিয়মিত হুমকি দিচ্ছেন বিজেপির তাবড় নেতারা। এমনকী, স্বয়ং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও পর্যন্ত সেই ইঙ্গিত দিয়েছেন। এর বিরুদ্ধে আমরা কিছুদিন আগেই শাসক দলের সঙ্গে একসুরে বিধানসভায় প্রতিবাদ জানিয়েছি সর্বসম্মত প্রস্তাব গ্রহণ করে। মুখ্যমন্ত্রী এই ইস্যুতে মহামিছিল করেছেন শহরে। এমনকী, দু’দিন আগে বাংলার একজন নাগরিককেও এনআরসি’র নামে দেশছাড়া করা যাবে না বলে জনসভায় হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। কিন্তু রাজীব কুমার-কাণ্ড নিয়ে যখন রাজ্যজুড়ে তোলপাড় চলছে, তখন উনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে এ নিয়ে কোনও প্রতিবাদ জানালেন না কেন, সেটাই সবচেয়ে রহস্যের। উল্টে বিধানসভার মনোভাবের উল্টো সুরে এখন এনআরসি নিয়ে মন্তব্য করছেন কার স্বার্থে, তা নিয়েও ধন্দ তৈরি হয়েছে। আসলে বিজেপি নেতৃত্বের হুমকির জেরে বাংলার কোটি কোটি মানুষ যখন তাদের নাগরিকত্ব নিয়ে বিস্তর দুশ্চিন্তার মধ্যে পড়েছে, তখন তাদের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিলেন কোন মুখে, তার জবাব মুখ্যমন্ত্রীকেই দিতে হবে।
তাহলে কি আপনারা মোদি-মমতার এই বৈঠকের পিছনে অন্য কোনও উদ্দেশ্য থাকার ইঙ্গিত দিচ্ছেন? উত্তরে দুই বিরোধী নেতা বলেন, আমরা তো অনেক আগে থেকে বিজেপি-তৃণমূলের গোপন বোঝাপড়া নিয়ে সরব হয়েছি। কিন্তু এবার বিজেপির জাতীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় নিজেই বলেছেন, মুখ্যমন্ত্রী রাজীব কুমারকে বাঁচাতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ছুটে গিয়েছেন। এ কথা বলে তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন যে আত্মসমর্পণ করলে অপরাধীদের আড়াল করতে পারে বিজয়বর্গীয়র দল। দিদিভাই-মোদিভাই সেটিং তত্ত্ব মুখ্যমন্ত্রী স্বীকার না করলেও ঝুলি থেকে বিড়াল বের করে দিয়েছেন কৈলাস। বাংলার মানুষের কাছে এদিনের বৈঠকের পর এ নিয়ে আর কোনও সংশয় থাকবে না।