রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
ক্লাবের কোষাধ্যক্ষ ইন্দ্রনীল সরকার বলেন, এই সাফল্য শুধুমাত্র প্রদীপের নয়। এটা গোটা ক্লাবের সাফল্য। সন্তান বা পরিবারকে শুধু নয় প্রদীপের এই সাফল্যে গর্বিত গোটা ক্লাবই। প্রদীপবাবুর সঙ্গে এই অভিযানে গিয়েছিলেন ক্লাবেরই সদস্য রাজশেখর মাইতি (অভিযানের নেতা ছিল), উপল চক্রবর্তী, আশিস গুপ্ত। শেরপা হিসেবে দলের সঙ্গে ছিলেন, দার্জিলিংয়ের ফূর্বা শেরপা, নরবু, পালচেন, দাওয়া এবং লোবসাং।
ইন্দ্রনীলবাবুর কথায় এই অঞ্চলেরই অন্য এক অনামি এক শৃঙ্গ জয় করতে গিয়ে সম্প্রতি আটজন পর্বতারোহী প্রাণ হারিয়েছেন। তাই ভয় তো ছিলই। কিন্তু, সব ভয়কে দূরে সরিয়ে দিয়েছিল গত বছরের সাফল্যের জেদই। উল্লেখ্য, গতবছর এই ক্লাবেরই একটি দল হিমালয়ের কোলে নামহীন এক ৬৮১৬ মিটারের বেশি উচ্চতার পর্বতশৃঙ্গে সফল অভিযান করেছিলেন। যথেষ্ট কঠিন ছিল সেই অভিযান। ১৯৯১ সালের পর আর কোনও দল ওই শৃঙ্গ জয় করতে পারেননি। সেই শৃঙ্গ জয় করতে সফল হয়েছিলেন প্রদীপ সহ ক্লাবের অন্যান্য সদস্য। এরপরেই এবছর আরও উঁচুতে তাকানো। ১২ বছরের পর্বতারোহী বা ট্রেকার হিসেবে নিজের সব অভিজ্ঞতাকে উজাড় করে দিয়ে এই সাফল্যকে ছিনিয়ে এনেছেন।
এবার ২৬ আগস্ট তাঁদের দল নন্দাদেবী পূর্বের বেস ক্যাম্পে (৪২৮০ মিটার) পৌঁছে গিয়েছিল। এরপরে ধাপে ধাপে শৃঙ্গের কাছে পৌঁছায় দলটি। তবে সামিট ক্যাম্পের জায়গা কম থাকায় প্রদীপ এবং রাজশেখর বাদে বাকিদের নীচে থেকে যেতে হয়েছিল। তবে এতে তিনি বা ক্লাবের কেউ নিরাশ হননি। কারণ ইন্দ্রনীলবাবুর কথায় এটা একটা দলগত সাফল্য। দলগতভাবেই তাঁরা অভিযান করেন। তাই প্রদীপ শৃঙ্গে পা রাখলেও সাফল্য পেয়েছেন সকলেই।