শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহবৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে মানসিক ... বিশদ
রাজীবের অবস্থান জানতে চেয়ে রবিবার নবান্নে চারটি চিঠি নিয়ে হাজির হয় সিবিআই। তার মধ্যে দুটি চিঠি ‘রিসিভ’ করা হলেও, বাকি দুটি ফিরিয়ে দেওয়া হয়। সেগুলি নিয়ে সোমবার বেলা ১১টা নাগাদ নবান্নে আসেন দুই অফিসার। এদিন অবশ্য তাঁদের ফেরানো হয়নি। নেওয়া হয়েছে চিঠি দু’টি। চিঠিতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা রাজীব কুমারের অবস্থান জানতে চাওয়া হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, ছুটিতে থাকলেও ওই স্তরের কোনও পুলিস কর্তা কোথায় রয়েছেন বা কোন ফোনে তাঁকে পাওয়া যাবে, এই সংক্রান্ত তথ্য ডিজি এবং স্বরাষ্ট্র দপ্তরের জানার কথা।
এদিন বিকেলে রাজ্যের জবাব পৌঁছয় সিবিআই দপ্তরে। এই সময় তদন্তকারী সংস্থার কর্তারা বৈঠক করছিলেন। তাতে রাজীব কুমার কবে ছুটির আবেদন করেছেন এবং সেই ছুটির প্রকৃতি কী, সেই সংক্রান্ত নথি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু প্রাক্তন নগরপাল কোথায় রয়েছেন, সেই ঠিকানা জানানো হয়নি। পাশাপাশি জবাবি চিঠিতে এও বলা হয়েছে, ছুটিতে যাওয়ার পর থেকেই রাজীব কুমারের সঙ্গে রাজ্য প্রশাসনের আর কোনও যোগাযোগ হয়নি। এমনকী, যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও ফোন বন্ধ থাকায় তা সম্ভব হয়নি। নবান্ন সূত্রে খবর, রাজীব কুমার কলকাতার বাইরে গেলে তিনি কোন ঠিকানায় থাকছেন, তা তাঁকে জানিয়ে যেতে হতো। এক্ষেত্রে তাঁর নতুন কোনও ঠিকানার কথা জানা নেই। ফলে ধরে নেওয়া হচ্ছে, তিনি পার্ক স্ট্রিটের কোয়ার্টারের ঠিকানাতেই রয়েছেন। রাজীব কুমারের নামে রাজ্যকে পাঠানো নোটিসটি তাঁর পার্ক স্ট্রিটের ঠিকানায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে খবর।
এই উত্তর মেলার পর বিষয়টি দিল্লিতে জানানো হয়। এরপরই সদর দপ্তরের কর্তারা রাজীবের খোঁজ পেতে উঠেপড়ে লেগেছেন। তাঁরা শুনেছেন, ছুটিতে থাকাকালীন রাজীব কুমার নাকি নিজের দপ্তরে গিয়েছিলেন শুক্রবার। বিভিন্ন দিক থেকে এই নিয়ে খোঁজখবর চলছে। সিবিআইয়ের এক কর্তার প্রশ্ন, রাজীব যেহেতু আগাম জামিনের আবেদন করেছেন, তাহলে তিনি সাক্ষী হিসেবে থাকেন কী করে? একমাত্র অভিযুক্তই আগাম জামিন চাইতে পারেন। তবে কাউকে সাক্ষী থেকে অভিযুক্ততে রূপান্তরিত করতে গেলে, নথি জোগাড় করতে হয়। এক্ষেত্রে তা করা হচ্ছে বলে শোনা যাচ্ছে। হাইকোর্টের রায়ের পর সিবিআইয়ের ডাক উপেক্ষা করে আড়ালে থাকা ও যোগাযোগ না করাকেই ঢাল করছে সিবিআই। প্রয়োজনে তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করার পথেও হাঁটতে পারে তারা।