দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় ও ব্যবসা থেকে অর্থাগম যোগ। প্রেমের প্রস্তাব পেতে পারেন। পুজো পাঠে মন। ... বিশদ
তাঁরাই খবর দেন ময়ূরেশ্বর থানায়। পুলিস এসে দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। এই ঘটনায় প্রদীপ ভল্লার স্ত্রী শঙ্করী ভল্লা ময়ূরেশ্বর থানায় অভিযোগ করেন, তাঁর স্বামীকে খুন করা হয়েছে। কারণ প্রদীপবাবুর পা ছিল মাটিতে। ময়ূরেশ্বর থানার পুলিস ৩০২ ধারায় খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে।
বীরভূমের ষাট পলসা হাইস্কুলের অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক কালিসাধন মণ্ডল, সহকারী প্রধান শিক্ষক শুভেন্দু মণ্ডল এবং স্কুল পরিচালন কমিটির প্রাক্তন সম্পাদক অশোক মণ্ডল সিউড়ি নিম্ন আদালতে আগাম জামিনের আবেদন জানান। তা খারিজ করে দেয় নিম্ন আদালত। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন এই তিন অভিযুক্ত।
শুক্রবার মামলার শুনানি চলাকালীন তিন অভিযুক্তের পক্ষে আইনজীবী আশিসকুমার চৌধুরী আদালতে জানান, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে আত্মহত্যার কথা বলা হয়েছে। পুলিস উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে খুনের মামলা রুজু করেছে। কারণ যেদিন ঘটনাটি ঘটেছিল, ওই সময়ে অভিযুক্তরা কেউই স্কুলের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন না। তাহলে কীভাবে তাঁর মক্কেলরা এই খুনের সঙ্গে যুক্ত হলেন? সরকারি আইনজীবী আগাম জামিনের তীব্র বিরোধিতা করে জানিয়েছেন, প্রদীপবাবু মৃত্যুর আগে যে ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়াতে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন, তাতে তিনি সমস্ত ঘটনা উল্লেখ করেছিলেন। বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি বলেন, যেহেতু ভাইরাল করা ভিডিও নিয়ে থানায় কোনও অভিযোগ হয়নি, তাই এই মৃত্যুর সঙ্গে সেটির কোনও যোগ নেই।
পাশাপাশি বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি বলেন, রাত ১০টার ঘটনা। ওই ঘটনায় যেমন প্রধান শিক্ষক, সহকারী প্রধান শিক্ষক এবং প্রাক্তন সম্পাদকের উপস্থিতির কোনও প্রমাণ মেলেনি, তেমনই সহকারী প্রধান শিক্ষক যে ভেলোরে চিকিৎসার জন্য গিয়েছিলেন, তারও প্রমাণ রয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই ময়ূরেশ্বর থানার পুলিস খুন এবং খুনের উপস্থিতি নিয়ে যে অভিযোগ করেছে, তা আদালতে একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ ওই তিনজনের উপস্থিতির কোনও প্রমাণ মেলেনি। এরপরই প্রধান শিক্ষক, সহকারী প্রধান শিক্ষক এবং প্রাক্তন পরিচালন কমিটির সম্পাদককে আগাম জামিন মঞ্জুর করে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি ও বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর ডিভিশন বেঞ্চ। পাশাপাশি, সকলকেই তদন্তে সহযোগিতা করারও নির্দেশ দেয়।