দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় ও ব্যবসা থেকে অর্থাগম যোগ। প্রেমের প্রস্তাব পেতে পারেন। পুজো পাঠে মন। ... বিশদ
৩০ নভেম্বরের মধ্যে ক্যুরিয়র বা ডাক বিভাগের মাধ্যমে আবেদনকারীদের বাড়িতে কার্ড পাঠানোর কাজ শেষ করতে বলা হয়েছে। খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জানিয়েছেন, ডিসেম্বর মাসের মধ্যে কার্ড পাবেন আবেদনকারীরা। ঠিকঠাক যাতে কার্ড পৌঁছয়, তার জন্য সরাসরি বাড়ির ঠিকানায় পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর আগে প্রথমে পুরসভা ও পঞ্চায়েতের মাধ্যমে কার্ড দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু তাতে সমস্যা হয়েছিল। বহু কার্ড বিলি হয়নি। খাদ্য দপ্তরে বিলি না হওয়া কার্ড ফেরত গিয়েছে। পরবর্তী দফায় খাদ্য দপ্তরের অফিস থেকে কার্ড দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু এবার গ্রাহকদের বাড়িতে সরাসরি কার্ড পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আবেদন করে যাঁরা কার্ড পাবেন না, তাঁদের মোবাইলে এসএমএস, ই-মেইল, পোস্ট কার্ডের মাধ্যমে তা জানিয়ে দেওয়া হবে। এবার রেশন কার্ড দেওয়ার ক্ষেত্রে পারিবারিক আর্থিক অবস্থার উপর জোর দেওয়া হয়েছে। শহর ও গ্রামে পরিবারের কী কী আর্থিক মাপকাঠি থাকলে ভর্তুকিতে সরবরাহ করা খাদ্য রেশন কার্ড মিলবে না, সেটা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। পরিবারের আয় ১৫ হাজার টাকার বেশি, পরিবারে কোনও সরকারি চাকরি হলে কার্ড দেওয়া হবে না। কী কী সম্পদ থাকলে কার্ড মিলবে না, সেটাও নির্দিষ্ট করা হয়েছে।
খাদ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পে এখন কাউকে নতুন কার্ড দেওয়ার সুযোগ নেই। কারণ কেন্দ্রীয় সরকার নির্ধারিত ৬ কোটি ১ লক্ষ রেশন গ্রাহকের কোটা পূরণ হয়ে আছে। ফলে আবেদনকারীদের রাজ্য সরকারের এক নম্বর খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পের ডিজিটাল কার্ড দেওয়া হবে। তবে খাদ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, আর্থিক সঙ্গতি থাকার কারণে কোনও আবেদনকারী এক নম্বর প্রকল্পের কার্ড না পেলে, তিনি চাইলে দুই নম্বর খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পের কার্ড পাওয়ার সুযোগ পাবেন। দুই নম্বর প্রকল্পে মাসে মাথাপিছু এক কেজি করে চাল ও গম যথাক্রমে ১৩ ও ৯ টাকা দরে পাওয়া যায়। যেখানে এক নম্বর প্রকল্পে দুই টাকা কেজি দরে মাথাপিছু পাঁচ কেজি চাল-গম মেলে।
সরকারি ভর্তুকিতে কোনও খাদ্যসামগ্রী পাওয়া যাবে না এমন বিশেষ ধরনের রেশন কার্ডও আনতে উদ্যোগ নিয়েছে খাদ্য দপ্তর। এব্যাপারে বিধানসভায় সর্বদলীয় বৈঠকে প্রস্তাব পাস হয়েছে। খাদ্য দপ্তর থেকে এই সংক্রান্ত ফাইল নবান্নে গিয়েছে। নবান্ন থেকে অনুমোদন এলে ওই কার্ড দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করবে খাদ্য দপ্তর। তার জন্য ১০ নম্বর ফর্ম দেওয়া হবে। সময়ের মধ্যে অনুমোদন চলে এলে বিশেষ ক্যাম্পে ওই কার্ডের জন্য ফর্ম জমা নেওয়ার কাজ করবে খাদ্য দপ্তর। পরিচয়পত্র হিসেবে ব্যবহারের জন্য মূলত ওই কার্ড আনা হচ্ছে। বহু মানুষ রেশনে খাদ্যসামগ্রী নিতে ইচ্ছুক না হলেও পরিচয়পত্র হিসেবে একটি কার্ড রাখতে চান। তাঁদের জন্য এই বিশেষ ব্যবস্থা করতে চাইছে সরকার।