দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় ও ব্যবসা থেকে অর্থাগম যোগ। প্রেমের প্রস্তাব পেতে পারেন। পুজো পাঠে মন। ... বিশদ
যাত্রীদের বক্তব্য, কেবল ভাড়া বৃদ্ধির দাবি তোলার সময় বাস মালিকদের সংগঠিত আকারে সোচ্চার হতে দেখা যায়। বাকি সময়ে তাঁদের সেই তৎপরতা চোখে পড়ে না। কমিশন ব্যবস্থা বাতিল করে মালিকরাও যদি চালকদের পথসুরক্ষার ব্যাপারে নিয়মিত সচেতন করার প্রক্রিয়া চালান, তাতে পরিস্থিতির কিছুটা হলেও উন্নতি হবে। কমিশন ব্যবস্থা কী? বাস মালিক সংগঠনগুলি সূত্রের খবর, কলকাতা সহ কয়েকটি জেলায় বাসকর্মীদের দৈনিক, সপ্তাহিক বা মাসিক বেতনের বদলে টিকিট বিক্রির নিরিখে পারিশ্রমিক দেওয়া হয়। সেটাই কমিশন ব্যবস্থা নামে পরিচিত। এই ব্যবস্থার জেরেই বাড়তি যাত্রী তুলতে রাস্তায় রেষারেষি হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠছে।
যদিও তা মানতে নারাজ বাস মালিক সংগঠনগুলির নেতারা। জয়েন্ট কাউন্সিল অব বাস সিন্ডিকেটের সাধারণ সম্পাদক তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, রবিবার মেয়ো রোডে কেন দুর্ঘটনা ঘটল, তা তদন্ত সাপেক্ষ। তবে, কমিশন ব্যবস্থার জন্যই দুর্ঘটনা ঘটছে বলে যা বলা হচ্ছে, তা মোটেই ঠিক নয়। পথচারী কিংবা বাসকর্মীরা অসতর্ক থাকলেও দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। আমরা কর্মীদের নিয়মিত সতর্ক করে থাকি। আমরাও চাই দুর্ঘটনা কমুক।
বাস অপারেটর্স কো-অর্ডিনেশন কমিটির যুগ্ম সম্পাদক প্রদীপ নারায়ণ বোস বলেন, প্রাথমিকভাবে যা খবর পেয়েছি, তাতে রবিবারের দুর্ঘটনাটি ঘটেছে এক পথচারীর অসতর্কতার জন্য। দুই বাসের রেষারেষির জন্য দুর্ঘটনা ঘটেনি। কমিশন ব্যবস্থার জন্য দুর্ঘটনা ঘটে, তেমনটা নয়। যদিও যাত্রী বা চালক, প্রত্যেকেরই উচিত সতর্ক হয়ে চলা।