কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
শনিবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, তাঁরা মোট ২০ হাজার কোটি টাকা আর্থিক ত্রাণ বরাদ্দ করবেন আবাসন শিল্পের জন্য। এর মধ্যে সরকার প্রত্যক্ষভাবে দেবে ১০ হাজার কোটি টাকা। বাদবাকি ১০ হাজার কোটি টাকা আসবে ব্যাঙ্ক, জীবন বিমা নিগম সহ অন্যান্য সংস্থা থেকে। এই টাকায় একটি তহবিল গঠন করা হবে। তার সুবিধা পাবে আবাসন নির্মাতাদের একাংশ। যে সমস্ত প্রকল্পে আগ্রিম ফ্ল্যাট বুকিং করে বসে আছেন ক্রেতারা, কিন্তু নির্মাতারা সেই আবসন শেষ করতে পারছেন না টাকার অভাবে, তাঁদের ওই তহবিলের সুবিধা দেওয়া হবে। কিন্তু সেক্ষেত্রেও শর্ত বেঁধে দেওয়া হয়েছে। যেমন, যদি কোনও আবাসন সংস্থা দেউলিয়া ঘোষিত হয়ে যায়, তাহলে তাকে ওই সুযোগ দেওয়া হবে না। পাশাপাশি ন্যাশনাল কোম্পানি ল’ ট্রাইব্যুনালে মামলা চলছে, এমন সংস্থাও সুযোগ পাবে না। যদি কোনও সংস্থার বিরুদ্ধে ব্যাঙ্ক থেকে টাকা ধার নিয়ে তা না মেটানোর রেকর্ড থাকে, তাহলেও তারা সরকারের ওই ত্রাণ থেকে বঞ্চিত হবে। মধ্যবিত্তদের জন্য যে আবাসন নির্মিত হয়েছে, সেক্ষেত্রে শেষ লগ্নে এসে টাকার অভাবে কাজ আটকে থাকলে কেন্দ্র সেই আবাসন সংস্থাকে সাহায্য করবে। আবাসন প্রকল্পকে চাঙ্গা করতে এর পাশাপাশি আরও কিছু সুবিধা এনেছে কেন্দ্র।
যে শিল্প একেবারে ধুঁকছিল, তাতে অক্সিজেন জোগাতে কেন্দ্র যে পদক্ষেপ নিয়েছে, তাকে স্বাগত জানিয়েছে শিল্পমহল। কিন্তু তাতে শিল্পের মন্দার সম্পূর্ণ সুরাহা হবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। আবাসন নির্মাতা সংস্থাগুলির সর্বভারতীয় সংগঠন ক্রেডাই ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যান জাক্সাই শাহ রাখঢাক না রেখেই বলেছেন, কেন্দ্র আবাসন শিল্প নিয়ে যে ঘোষণা করেছে, তা আসলে মূল সমস্যার সামান্য সুরাহা মাত্র। আবাসন শিল্প দেশের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বা জিডিপি’র নিরিখে দ্বিতীয় বৃহত্তম শিল্প। সরকার তার সমস্যার গভীরতাই বুঝতে চাইছে না। আমরা আশা করব, সরকার আরও বেশি কিছু ঘোষণা করবে। তাঁর কথায়, প্রধানমন্ত্রী ২০২২ সালের মধ্যে সবার মাথায় ছাদ দেওয়ার কথা বলছেন। কিন্তু সরকারের তেমন সদর্থক সংস্কার বা পদক্ষেপ না থাকায় তা ক্রমশ চ্যালেঞ্জে পরিণত হচ্ছে। তবে ক্রেডাই বেঙ্গলের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট সুশীল মোহতা বলেন, যে ২০ হাজার কোটি টাকার তহবিলের কথা সরকার বলছে, তা যদি একবার আবাসন নির্মাতাদের কাছে আসতে থাকে, তাহলে ক্রেতারাও ফ্ল্যাট কেনার জন্য প্রকল্পে আরও টাকা ঢালবেন। এতে মূলধনের জোগানও বাড়বে, যা সদর্থক দিক।
কলকাতার একটি আবাসন সংস্থার কর্তা ঋষি জৈন বলেন, সরকার যে পদক্ষেপগুলি নিয়েছে, তাতে এটুকু বোঝা যাচ্ছে, তারা আবাসন শিল্পের সমস্যাগুলির বিষয়ে অবগত। কিন্তু সমস্যাটি শুধু কয়েক হাজার কোটি টাকার নয়। ব্যাঙ্কগুলি যেভাবে এই শিল্পের বিষয়ে উন্নাসিকতা দেখাচ্ছে, তা সমস্যার। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির মধ্যে যাতে আবাসন শিল্প নিয়ে আত্মবিশ্বাস বাড়ে, সেদিকে নজর দেওয়া উচিত।