দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় ও ব্যবসা থেকে অর্থাগম যোগ। প্রেমের প্রস্তাব পেতে পারেন। পুজো পাঠে মন। ... বিশদ
চলতি আর্থিক বছরে আগস্ট পর্যন্ত কত টাকা আদায় হল রাজ্যে? এখানে কলকাতা জোন থেকে যে আয়কর আদায় হয়, তার মধ্যে পড়ে পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি সিকিম এবং আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ। সূত্রের হিসেব বলছে, এখানে মোট ইনকাম ট্যাক্স আদায় হয়েছে প্রায় ১১ হাজার ৬০২ কোটি টাকা। গত বছর ওই সময়ের নিরিখে আদায় হয়েছিল প্রায় ৯ হাজার ৭৪৪ কোটি টাকা। বৃদ্ধির হার ১৯.১ শতাংশ। এই যেখানে রাজ্যের পরিস্থিতি, সেখানে আগস্ট পর্যন্ত দেশে আয়কর বাবদ মোট আদায় হয়েছে প্রায় ২ লক্ষ ৭১ হাজার ১৪৩ কোটি টাকা। গত বছর আগস্ট পর্যন্ত সেই অঙ্ক ছিল ২ লক্ষ ৪৮ হাজার ৬৮২ কোটি টাকা। বৃদ্ধির হার ন’শতাংশ।
এ রাজ্যে ছোট ও ক্ষুদ্র শিল্পের পরিস্থিতি ভালো নয়। নগদ জোগানের অভাব সেখানে রয়েছে। মাঝারি শিল্পেও সমস্যা আছে। সেই সঙ্কট নিয়েও কী করে আয়কর আদায় বাড়াল রাজ্য? দপ্তরের কর্তারা বলছেন, মূলত এর দু’টি কারণ। প্রথমত, চলতি বছরে সাধারণ মানুষের থেকে আয়কর বাবদ অগ্রিম আদায় হয়েছে ভালো পরিমাণে। মোট আদায়ের পরিমাণ প্রায় ৫ হাজার ১০৩ কোটি টাকা। সেই টাকা অনেকটা এগিয়ে দিয়েছে রাজ্যকে। দ্বিতীয় কারণটি হল, বড় শিল্প সংস্থাগুলি এ রাজ্যে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। ভোগ্যপণ্য, ব্যাঙ্ক, খাদ্যদ্রব্য, বিদ্যুৎ, জুতো, কয়লা, রং প্রভৃতি ক্ষেত্রে সংস্থাগুলি চলতি আর্থিক বছরে ভালো আয় করেছে। তাতে অগ্রিম আয়কর জমা বেড়েছে। সঙ্কট না হলে ছোট শিল্পের থেকেও ভালো আদায় হতে পারত, মনে করছেন কর্তারা। পাশাপাশি তাঁদের যুক্তি, নোট বাতিলের সঙ্কট গোটা দেশেই দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলেছে। গত বছর পশ্চিমবঙ্গে তার প্রভাব ছিল অন্য অনেক রাজ্যের তুলনায় বেশি। আজ যে মন্দা দেশজুড়ে কালো ছায়া ফেলেছে, তা আগেই গ্রাস করেছিল বাংলাকে। সেই পরিস্থিতির খানিকটা বদল হয়েছে হয়তো। তাই আয়কর আদায় বৃদ্ধির হারে তার প্রভাব পড়েছে। তবে পাশাপাশি আয়কর দপ্তরের কর্তারা জানিয়েছেন, এখানে বড় শিল্প খুব একটা নেই। তাই গতবারের নিরিখে আদায়ের হার বাড়লেও, শিল্পভিত্তিক রাজ্যগুলির তুলনায় মোট আয়কর আদায়ে কিন্তু পিছিয়েই আছে পশ্চিমবঙ্গ। সেই পরিস্থিতির বদল আনতে হলে রাজ্যে শিল্পের বহর বাড়াতেই হবে। কৃষি থেকে রোজগার যেহেতু আয়করের আওতায় পড়ে না, তাই কৃষিভিত্তিক উৎপাদন এ রাজ্যে যতই বাড়ুক, ইনকাম ট্যাক্সের খাতায় তার কোনও প্রভাব পড়বে না।