পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
এদিন অবশ্য বাম ছাত্র-যুবদের ধিক্কার মিছিলকে ঘিরে ফের অশান্তির আবহ তৈরি হয়। গোড়ায় উদ্যোক্তাদের ইচ্ছা ছিল মিছিলকে মৌলালি হয়ে ধর্মতলা পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার। কিন্তু পুলিস বেঁকে বসায় তারা শেষমেশ শিয়ালদহ কোর্ট পর্যন্ত যাবে বলে ঠিক করে। কোর্টের কাছে যেতেই অবশ্য পুলিস তাদের ব্যারিকেড তুলে আটকানোর চেষ্টা করে। শুক্রবারের হাওড়ার ঘটনার পর থেকে বাম ছাত্র-যুব সংগঠনের সমর্থকরা বেজায় তেতে রয়েছে। এদিন ফের পুলিস তাদের শান্তিপূর্ণ মিছিল আটকানোর চেষ্টা করলে তারা আরও খেপে যায়। ব্যারিকেড ভেঙে তারা এগিয়ে যায়। শুরু হয় পুলিসের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি। উত্তেজনার পরিবেশ তৈরি হওয়ায় শিয়ালদহ স্টেশনগামী নিত্যযাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে ছুটোছুটি করতে থাকে। এই অবস্থায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে বুঝে পুলিস অবশ্য মিছিলের গতিরোধ করার পথ থেকে সরে আসে। শেষমেশ সংক্ষিপ্ত সভাও করে উদ্যোক্তারা।
উদ্যোক্তাদের তরফে ডিওয়াইএফ-এর রাজ্য সম্পাদক সায়নদীপ মিত্র বলেন, গতকাল পুলিস নির্লজ্জ আচরণ করার পরও দেশজুড়ে তাদের ছিছিক্কার করছে সাধারণ মানুষ। তবু এই সরকারের মনোভাব বদলাচ্ছে না। এরপর আর আমরা পুলিসের সঙ্গে সহযোগিতা করব কি না, তা বিবেচনা করব। এই আচরণের পর আচমকা যেখানে সেখানে বিক্ষোভ দেখানোর পথেই আমাদের হাঁটতে ওরা বাধ্য করছে। যুব কংগ্রেস ও ছাত্র পরিষদের ধিক্কার মিছিলে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, শুক্রবার বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান হাওড়ার হাসপাতালে আহতদের দেখতে ছুটে যান। এদিন রোহনরা আমাদের ফোন করে মিছিলে যোগ দিয়ে সহমর্মিতা দেখানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেন। আমরা তাতে সহমত হয়েছি। এজন্য ওদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। রোহন বলেন, যেভাবে ওদের উপর পুলিস হামলা করেছে, তার প্রতিবাদে এদিন মিছিলে শামিল হওয়া জরুরি বলে মনে করেছি।
প্রসঙ্গত, শুক্রবারের ঘটনায় ধৃত ২২ জন সমর্থকের জামিন না হওয়ায় আগামী সোমবার পর্যন্ত তাদের জেল হাজতে থাকতে হবে। ওইদিন তাদের জামিনের দাবিতে সোচ্চার হওয়ার জন্য হাওড়া কোর্ট চত্বরে সমর্থকদের জমায়েত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে নেতৃত্ব।