পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
রাজ্য কো-অর্ডিনেশন কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিজয়শঙ্কর সিনহা জানিয়েছেন, ষষ্ঠ বেতন কমিশনের সুপারিশ কাযর্কর করার আগে সরকারি কর্মীদের বকেয়া প্রাপ্য মেটানোর ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রী কিছুই বলেননি। এখন বকেয়া ডিএ প্রায় ৪১ শতাংশ বলে তাঁর দাবি। কালো ব্যাজ পরে বিক্ষোভ প্রদর্শনের পর আরও কর্মসূচি নেবে কো-অর্ডিনেশন কমিটি। বিজেপি প্রভাবিত কর্মচারী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রাণবন্ধু নাগ জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় হারে সরকারি কর্মীদের ডিএ দেওয়া নিয়ে কিছু বলা হয়নি। এ ব্যাপারে স্যাট নির্দেশ দিলেও তা কার্যকর করার ব্যাপারে সরকার কিছু বলছে না। দাবি আদায়ে কর্মচারী পরিষদ রাস্তায় নেমে আন্দোলন করবে। বিজেপি প্রভাবিত কর্মচারী যৌথ মঞ্চের সভাপতি অজয় ভুঁইঞা জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীর কথায় তাঁরা বিশ্বাস করছেন না। কয়েকদিনের মধ্যে বৃহত্তর আন্দোলনে নামার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
আন্দোলনের পাশাপাশি সরকারি কর্মী সংগঠন আইনি লড়াইয়ের দিকটাও খতিয়ে দেখছে। ডিএ নিয়ে স্যাটে মামলা করেছিল কনফেডারেশন অব স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, বেতন কমিশনের সুপারিশের ব্যাপারে সরকারি বিজ্ঞপ্তি জারির জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে। স্যাটের রায়ের সঙ্গে বিজ্ঞপ্তি সঙ্গতিপূর্ণ না হলে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে। বেতন কমিশনের রিপোর্ট এখনও কর্মী সংগঠনগুলি পায়নি। রিপোর্ট পেলে বিষয়টি কিছুটা পরিষ্কার হবে। কমিশনের কাছে ডেপুটেশন দিয়েছে এমন সংগঠনগুলির রিপোর্টের কপি পাওয়ার কথা। তৃণমূল প্রভাবিত রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের কোর কমিটির সদস্য পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, রাজনৈতিক স্বার্থে আন্দোলন করতে চাইছে কেউ কেউ। ডিএ নিয়ে আইনি জটিলতা থাকায় মুখ্যমন্ত্রী তা নিয়ে কিছু বলেননি। কিন্তু বেতন কমিশনের সুপারিশ যে সরকার পুরোপুরি মেনে নেবে, সেটা তিনি প্রকাশ্যে ঘোষণা করে দিয়েছেন। এরপর কোনও আপত্তি থাকারই কথা নয়।