কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
প্রসঙ্গত, সিঙ্গুরকে ঘিরে বাংলার রাজনীতি আবার সরগরম হচ্ছে। বাম ছাত্র-যুব সংগঠন সিঙ্গুর থেকে তাদের নবান্ন অভিযান কর্মসূচি শুরু করে। সেই অভিযানকে ঘিরে শুক্রবার হাওড়া ময়দানে পুলিসের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ হয় মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের। সিঙ্গুরে শিল্পস্থাপন নিয়ে নতুন করে আন্দোলন করতে চাইছে বামদলগুলি। এর মধ্যে এদিন ট্যুইট করে অনিচ্ছুক কৃষকদের আন্দোলনকে স্বীকৃতি দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তাঁর রাজনৈতিক জীবনের সবচেয়ে বড় আন্দোলন ও তার সাফল্যের পরিচয়—সিঙ্গুর। সেখানকার অনিচ্ছুক কৃষকদের জমি ফিরিয়ে দেওয়া তাঁর সাফল্যের অন্যতম মুকুট। সেই দাবিতে তাঁর অদম্য লড়াই, অনশন, শেষ পর্যন্ত জমি ফেরত দেওয়াই হল প্রতিশ্রুতি পালন। তিনি সরকারে এসে প্রতিশ্রুতি পালনে উদ্যোগী হন। সেই জমি অধিগ্রহণ যে বৈধ ছিল না, তা সুপ্রিম কোর্টের রায়েই পরিষ্কার হয়ে যায়। তাঁর আন্দোলনের সাফল্যই ছিল জমি ফিরিয়ে দেওয়া। এদিনই ছিল সেই প্রতিশ্রুতি পালনের দিন। তা তিনি ট্যুইট করে স্মরণ করিয়ে দিলেন।
তবে তিনিও যে শিল্পের সমৃদ্ধির পক্ষে, তাও জানাতে ভোলেননি। রাজ্যের শিল্পের অগ্রগতির জন্য নানা ধরনের উদ্যোগ নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৈরি করেছেন ল্যান্ড ব্যাঙ্ক। জমির ক্ষেত্রে কোনও অভাব হবে না বলে সরকারের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। জোর করে জমি অধিগ্রহণ করা হবে না বলে তাঁর অনড় অবস্থান থাকলেও ভূমি আইনের ক্ষেত্রে অনেক সরলীকরণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি চান, শিল্প ও কৃষি পাশাপাশি ও সমান তালে চলুক। ভারসাম্য বজায় রেখে দুটি ক্ষেত্রেরই অগ্রগতি হোক।