বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
গত বছরে বকেয়া রোড ট্যাক্স আদায়ে জরিমানার উপর ‘ওয়েভার স্কিম’ অর্থাৎ বিশেষ ছাড় দেওয়ার ‘ধামাকা অফার’ ঘোষণা করেছিল রাজ্য। রাজ্যের সেই উদ্যোগের সুফল পেয়েছিলেন বেসরকারি পরিবহণের মালিকরা। এবার লাইসেন্স প্রদান নিয়েও রাজ্যের অভিনব উদ্যোগে খুশি তাঁরা।
পরিবহণ দপ্তর সূত্রের খবর, রাজ্যজুড়ে বকেয়া লাইসেন্স মালিকদের হাতে তুলে দিতে পাঁচ দিনের বিশেষ ক্যাম্প চালানো হচ্ছে। গত শুক্রবার থেকে গোটা রাজ্যের নানা প্রান্তে এই ক্যাম্প শুরু হয়েছে। শনিবার ছুটির দিন হলেও ক্যাম্প চলেছে। রবিবারও এই ক্যাম্পগুলিতে পুরোদমে কাজ চলবে। প্রথম তিনদিনের পর গোটা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হবে। তারপরও যেসব লাইসেন্স প্রদানের কাজ বকেয়া থেকে যাবে, সেগুলি দেওয়ার প্রক্রিয়া চালানো হবে আগামী ২৪ এবং ৩০ সেপ্টেম্বর। বিষয়টি নিয়ে জানতে চাওয়া হলে পরিবহণমন্ত্রী বলেন, আমাদের একটাই উদ্দেশ্য, যাঁরা লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছেন, নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া শেষ করে তাঁদের লাইসেন্স দিতে হবে। তার জন্য রাজ্যজুড়ে বিশেষ ক্যাম্প চলছে। চলতি মাসের মধ্যেই গোটা প্রক্রিয়াটি শেষ করতে হবে।
দপ্তরের এক কর্তার কথায়, প্রথমে কোন জেলায় কত লাইসেন্স দেওয়ার কাজ বাকি রয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হয়েছিল। দেখা যায়, লার্নার্স লাইসেন্স ও পাকা লাইসেন্স মিলিয়ে মোট সংখ্যা প্রায় ৫০ হাজার। সেই মতো লাইসেন্স দিতে প্রতিটি জেলাতেই বিশেষ ক্যাম্প চলছে। একমাত্র কালিম্পং জেলায় জেলাস্তরে এই ক্যাম্প খোলা হয়েছে। কারণ একমাত্র এই জেলায় বকেয়া থাকা লাইসেন্সের সংখ্যা কম। অধিকাংশ জায়গায় বিডিও অফিসেই ক্যাম্প খোলা হয়েছে। কোথাও কোথাও ক্যাম্প চলছে মহকুমা স্তরেও। যে প্রক্রিয়ায় লাইসেন্স দেওয়া হয়, সেভাবেই লাইসেন্স দেওয়ার কাজ হচ্ছে। কোথাও কোনও সমস্যা হলে তার খবর কেন্দ্রীয় কন্ট্রোল রুমে আসা মাত্রই দ্রুত সমস্যা মেটানোর রাস্তা করে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। তবে এখন লাইসেন্স প্রদানের প্রক্রিয়া সরল করে দেওয়া হয়েছে। জেলাগুলি থেকে খুব বেশি ‘কেস’ আসছে না। বিশেষ ক্যাম্পের পাশাপাশি দৈনন্দিন কাজকর্মের মধ্যেও লাইসেন্স প্রদানের কাজ চলছে।
কী বলছেন রাজ্যের বেসরকারি পরিবহণের মালিক সংগঠনগুলির নেতারা? অল বেঙ্গল বাস-মিনিবাস সমন্বয় সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাহুল চট্টোপাধ্যায় বলেন, বিশেষ ক্যাম্প খুলে বকেয়া লাইসেন্স প্রদানের সিদ্ধান্ত বেশ ইতিবাচক। অভিনবও বটে। আমরা সরকারের কাছে দ্রুত লাইসেন্স দেওয়ার ব্যাপারে দাবিও করেছিলাম। সব মিলিয়ে আমরা খুশি।