পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
পে-কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী, ন্যূনতম বেসিক পে (ব্যান্ড এবং গ্রেড পে মিলিয়ে) ২০০৬ সালের পয়লা জানুয়ারি ছিল ৭০০০ টাকা, তা বেড়ে (৭০০০ X ২.৫৭) হবে ১৭৯৯০ টাকা। এর সঙ্গে হাউস রেন্ট অ্যালাউন্স যুক্ত হবে। কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধির জন্য ২.৫৭ শতাংশ সূচককে ভিত্তি ধরেছে ষষ্ঠ পে-কমিশন। পে-কমিশন কার্যকর হলেই ডিএ যুক্ত হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে পে-কমিশনের সুপারিশ কার্যকর করার ক্ষেত্রে কর্মচারীরা এরিয়ার পাবেন কি না, এদিন তা নিয়ে কোনও ঘোষণা করেননি মমতা। তাঁর কথায়, যে রিপোর্ট জমা পড়েছে, তা প্রথম পর্যায়ের। ক্যাডার বিন্যাস, বাড়িভাড়া ভাতার পরিমাণ, আদালতে থাকা মামলা সহ আরও কয়েকটি বিষয় দেখে নেওয়া হচ্ছে। সুপারিশ রয়েছে, ব্যান্ড এ গ্রেড পে প্রথা তুলে দেওয়ার। বেতন বৃদ্ধির এই ঘোষণার সঙ্গেই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দেন, কর্মচারীদের প্রাপ্য গ্র্যাচুইটির পরিমাণও ৬ লক্ষ থেকে বাড়িয়ে ১০ লক্ষ টাকা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, পে-কমিশনের সুপারিশ কার্যকর করার জন্য বাড়তি ১০ হাজার কোটি টাকা খরচ হবে। এই ঘাটতি মেটানোর জন্য অন্য জায়গা থেকে মাথা খাটিয়ে রোজগার বাড়াতে হবে বলেও নিদান দিয়েছেন তিনি। পে-কমিশনের প্রথম পর্যায়ের রিপোর্ট নিয়ে আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর মন্ত্রিসভার বৈঠকে আলোচনা হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে একটি আক্ষেপের কথাও তুলে ধরেন তিনি। বলেন, ভেবেছিলাম, আজই সবটা ঘোষণা করা যাবে। কিন্তু যারা এখনও ঘোঁট পাকাচ্ছে, তাদের জন্যই সেটা সম্ভব হল না। বাকিটার জন্য আরও কিছুদিন সময় লাগবে।
গত লোকসভা নির্বাচনে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের একটা বড় অংশ যে জোড়াফুল শিবির থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল, ভোটের ফলাফলের মধ্যে দিয়ে তা উপলব্ধি করেছে রাজনৈতিক মহল। বিশেষ করে পোস্টাল ব্যালটের ফলাফলে তা দিনের আলোর মতো স্পষ্ট হয়েছে। তবে বক্তৃতার শুরুতেই মুখ্যমন্ত্রী এদিন বারবার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন কর্মচারীদের প্রতি। বলেছেন, গত আট বছর ধরে মা-মাটি-মানুষের সরকার পরিচালনার ক্ষেত্রে যে সহযোগিতা আর সাহায্য আপনাদের কাছ থেকে পেয়েছি, তা তুলনাহীন। তবে গত লোকসভা ভোটের সময় আপনাদের সামনে নানা প্ররোচনা এসেছে, কেউ কেউ ভুলও বুঝিয়েছিল। মমতা বলেন, আমাকে যতই গালাগাল করা হোক না কেন, যেটা করতে পারব, শুধু সেটাই বলব। নির্বাচনের সময় প্রতিশ্রুতি দেব, এটা করব, সেটা করব, এরকম কখনই করি না। এর জন্য সব হারাতেও রাজি। সভার শেষ পর্বে পে-কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী বেতন ও গ্র্যাচুইটি বৃদ্ধির বিষয়টি সামনে আসার পর গোটা সভাস্থল যখন উল্লসিত, ঠিক তখনই মাইক হাতে মমতা বলেন, যখন বলেছি যতটা পারব দেব, তখন দেবই, ভরসা রাখুন। এই সরকারকে আপনারা (কর্মচারীরা) যত দেবেন, ততই ঢেলে দেব। সভাস্থল জুড়ে তখন শুধুই উল্লাসের সমুদ্রগর্জন।