পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
সিঙ্গুরের জমি অধিগ্রহণ বিরোধী আন্দোলন থেকেই তৎকালীন বিরোধী নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বাংলায় পরিবর্তনের সূচনা হয়েছিল। নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি মতো টাটাদের কারখানার জন্য অধিগৃহীত জমি অনিচ্ছুক মালিকদের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু সেই সিঙ্গুরের জমিতে কারখানা না হলেও চাষের জমি নিয়েও বিতর্ক তৈরি হয়েছে। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে সিঙ্গুরের হারানো জমি ফেরত পেতে ব্যগ্র বামেরা। রাজ্যে বেকারত্বের কারণ হিসেবে টাটাদের মোটর কারখানা না হওয়াকেই দায়ী করে প্রচারে নেমেছিল বাম ছাত্র-যুবরা। রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা, মুখ্যমন্ত্রী সহ তৃণমূলের ভাবাবেগকে আঘাত করতেই সিঙ্গুরকে বেছে নিয়েছিল বামেরা।
এদিন বিমানবাবু বলেন, ছাত্র-যুবরা ন্যায্য দাবিতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ডেপুটেশন দিতে চেয়েছিল। সেই গণতান্ত্রিক আন্দোলনের উপর যেভাবে পুলিস বর্বর আক্রমণ নামিয়ে এনেছে, তাকে ধিক্কার জানাই। এর প্রতিবাদে রাজ্যের শুভবুদ্ধিসম্পন্ন গণতান্ত্রিক নাগরিকদের প্রতিবাদে শামিল হওয়ার ডাক দিয়েছেন বর্ষীয়ান বাম নেতা। এদিন সন্ধ্যায় হাওড়া হাসপাতালে আহত বিক্ষোভকারীদের দেখতে গিয়েছিলেন বিমানবাবু। বিধানসভার বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নানও আহতদের দেখতে গিয়েছিলেন। তাঁর মতে, রাজ্যে স্বৈরাচারি সরকার চলছে। এর বিরুদ্ধে যৌথভাবে কংগ্রেস ও বামেদের পথে নামা দরকার বলে মনে করেন তিনি। তাঁর মতে, কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের মতোই রাজ্যে তৃণমূল প্রশাসন কোনও রকম গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার প্রতি শ্রদ্ধাশীল নয়। এদিনের ঘটনা সেই কথাই বলছে বলে দাবি মান্নানের। সিপিএমের মুখপাত্র মহম্মদ সেলিম বলেন, মুখ্যমন্ত্রী আগুন নিয়ে খেলছেন। সবাই চিটফান্ড আর সিন্ডিকেটের টাকায় ডিম ভাত খেতে রাজি নয়। তাঁর দাবি, ২০০১ থেকে এই পর্যন্ত রাজ্যে বড় কোনও বিনিয়োগ আসেনি। আজকের শাসক দল বাংলায় যে শিল্প সম্ভাবনা গড়ে উঠছিল, তা ভ্রূণেই নষ্ট করে দিয়েছে ভাড়াটে মস্তানদের দিয়ে। তিনি বলেন, সিঙ্গুর যেহেতু আমাদের রাজ্যের শিল্প শ্মশানের একটা প্রতীক হয়ে গিয়েছে, তাই সেখান থেকে শুরু হয়েছিল নবান্ন অভিমুখী পদযাত্রা। তাঁর প্রশ্ন, মিছিলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করতে প্রশাসনের এত আপত্তি কেন, যে তাদের পুলিস দিয়ে পেটাতে হবে? সিআইটিইউ নেতা অনাদি সাহু জানিয়েছেন, হাওড়ার ঘটনার প্রতিবাদে বাম শ্রমিক সংগঠনগুলি আজ বিক্ষোভ দেখাবে রাজ্যে। বাম শরিক সিপিআইয়ের রাজ্য সম্পাদক স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়, ফরওয়ার্ড ব্লকের নরেন চট্টোপাধ্যায়, আরএসপির মনোজ ভট্টাচার্য, লিবারেশনের পার্থ ঘোষ এই ঘটনার নিন্দায় সরব হয়েছেন।