কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
এদিকে, জুডিশিয়াল মেম্বারের পাশাপাশি রাজ্য মানবাধিকার কমিশনে নিযুক্ত পুলিস সুপারের পদ এই মুহূর্তে খালি রয়েছে। কমিশনের কাছে আসা অভিযোগগুলি দেখেন এই অফিসার। দীর্ঘ তিনমাসেরও বেশি সময় এই পদটি শূন্য থাকায় কমিশনের দৈনন্দিন কাজকর্মে জটিলতা তৈরি হচ্ছে। এ বিষয়ে মানবাধিকার কমিশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত নবান্নের এক কর্তা বলেন, দু’টি গুরুত্বপূর্ণ পদ খালি থাকার বিষয়টি প্রশাসনের শীর্ষ মহলে জানানো হয়েছে। কিন্তু কবে সেই জোড়া পদ পূরণ হবে, তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। ওই পদে সরকারের পছন্দ মতো মুখ পাওয়া যাচ্ছে না। ওই কর্তা আরও বলেন, কমিশনের কাজকর্ম খতিয়ে দেখা শুরু করেছে সরকার। কেননা, আমাদের কাছে অভিযোগ এসেছে, মানবাধিকার কমিশনের সরকারি ওয়েবসাইট ঠিকমতো পরিচলনা করা হচ্ছে না। জানা গিয়েছে, ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাস হয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত সেই অভিযোগের বিস্তারিত তথ্য ওই ওয়েবসাইটে নেই। গোটা রাজ্যের দূর-দূরান্ত থেকে গরিব মানুষজন কমিশনের অফিসে এসে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তার পরিণতি কী হল, তা জানতে অধীর অপেক্ষায় থাকেন সেই মানুষগুলি। কমিশনের ওয়েবসাইট সক্রিয় থাকলে এই অভিযোগ সংক্রান্ত বিষয়টি অনেক সহজে জানা যায়। দীর্ঘদিন ধরেই সেই তথ্য জনসমক্ষে না আসায় সাধারণ মানুষ সমস্যায় পড়ছেন বলেও জানান ওই কর্তা। সব মিলিয়ে রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের একাধিক খামতির কথা উঠে এসেছে বিগত কয়েকমাসে। এ প্রসঙ্গে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কমিশনের এক পদস্থ আধিকারিক বলেন, ওয়েবসাইট সংক্রান্ত অভিযোগের ভিত্তি রয়েছে। সোমবারই এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে। তবে সাংবিধানিক এই সংস্থার দু’টি গুরুত্বপূর্ণ পদ পূরণের বিষয়টি পুরোপুরি নবান্নের এক্তিয়ারভুক্ত। এ নিয়ে রাজ্য সরকারই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।