বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
জানা গিয়েছে, সরকারের বিভিন্ন দপ্তর, সংস্থা বা পুরসভার কাজকর্ম নিয়ে সাধারণ মানুষের অভিযোগ দীর্ঘ দিনের। বিশেষ করে নির্দিষ্ট সময়ে পরিষেবা পাওয়ার ব্যাপারে মানুষের অভিযোগ সবচেয়ে বেশি। ক্ষমতায় আসার পর লালফিতের ফাঁসের অজুহাতে জনগণকে হয়রানির হাত থেকে রেহাই দিতে এব্যাপারে কঠোর অবস্থান নেন মমতা। তাঁর নির্দেশে ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তর বিধানসভায় পাশ করায় দি ওয়েস্ট বেঙ্গল রাইট টু পাবলিক অ্যাক্ট। এই আইন লাগু করে বিভিন্ন সরকারি বা পুরসভাকেন্দ্রিক পরিষেবা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পাওয়ার বিষয়টি সুনিশ্চিত করতে চেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এই কাজে নজরদারি করার জন্য একটি কমিশনও গঠিত হয়। চার সদস্যের এই কমিশনেরই মাথায় রয়েছেন অরূপবাবু। ইতিমধ্যে কমিশন রাজ্যের ন’টি জেলায় সফর করে বিভিন্ন দপ্তর ও পুরসভা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করে আইন মোতাবেক পদক্ষেপ করার সুপারিশ করেছে। বেশ কিছু নালিশের নিষ্পত্তি করার ক্ষেত্রেও কমিশন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করেছে। তবে আইন বা কমিশন থাকলেও সময়ে পরিষেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে মানুষের অভিযোগ কিন্তু পুরোপুরি বন্ধ হয়নি।
নিজস্ব সূত্রে রাজ্যপাল ধনকার এই ধরনের একটি আইনের কথা শুনে এব্যাপারে বিস্তারিত জানতে আগ্রহী হন। আইন, কমিশন এবং উভয়ের বাস্তব কার্যকারিতা ঠিক কী, সে সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হতে তিনি এদিন রাজভবনে তলব করেন অরূপবাবুকে। বিধি অনুযায়ী রাজ্যপালই চিফ কমিশনারের নিয়োগকর্তা। রাজ্যপালের কাছেই এই পদাধিকারীকে শপথ নিতে হয়। তাই অরূপবাবু ধনকারকে বিশদে বিবরণ দেন তাঁদের কাজের এক্তিয়ার সম্পর্কে। পরিসংখ্যানসমেত একটি সংক্ষিপ্ত রিপোর্টও তুলে দেন তাঁর হাতে। পরে অরূপবাবু বলেন, রাজ্যপালের ডাকে সাড়া দিয়ে আমি রাজভবনে গিয়েছিলাম। ওঁকে এই আইন এবং কমিশনের কাজকর্ম সম্পর্কে রিপোর্ট করেছি। উনি এনিয়ে আমায় আবার ডেকে পাঠাবেন বলে জানিয়েছেন।