গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
রায় ঘোষণার পর লালুর আইনজীবী গণেশ মাইতি বলেন, আমার মক্কেলকে যে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল, কোর্টের রায়েই তা প্রমাণিত হল। আমরা মামলা লড়তে চেয়েছিলাম, কিন্তু সরকারপক্ষ তাতে রাজি হয়নি। আমাদের তো করণীয় কিছু নেই। আমরা প্রতিটি শুনানিতেই কোর্টে হাজির ছিলাম। কিন্তু দেখা গিয়েছে, সেখানে শুনানি না হওয়ায় আমাদের ফিরে যেতে হয়েছে। মামলায় সরকারপক্ষের দুই প্রবীণ আইনজীবী শ্যামাদাস গঙ্গোপাধ্যায় ও রাধাকান্ত মুখোপাধ্যায় বলেন, মামলা নিষ্পত্তি হওয়ায় আমরা স্বস্তি পাচ্ছি। কারণ আমরা কোর্টের কাছে আবেদন করেছিলাম, এই মামলায় পাঁচ প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী মারা গিয়েছেন। বহু অভিযুক্ত ‘ফেরার’। তাই মামলার ভবিষ্যৎ নিয়ে উঠেছিল প্রশ্ন। কারণ বছরের পর বছর ঘুরে গেলেও মামলা শেষ হওয়ার বিষয়টি ক্রমশ অনিশ্চিত হয়ে পড়ছিল। এই বিষয়গুলিই আমরা কোর্টের কাছে পেশ করেছিলাম। আমরা চেয়েছিলাম, এই মামলার নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে আদালত চূড়ান্ত রায় দিক।
৯০’ সালের ওই ঘটনার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে গুরুতর জখম অবস্থায় শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দায়ের করা হয় খুনের চেষ্টার মামলা। অভিযুক্ত করা হয় ১২ জনকে। যার মধ্যে অধিকাংশ অভিযুক্তকে ‘ফেরার’ দেখানো হয়। পরবর্তী সময়ে পুলিস তদন্ত শেষ করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগ এনে আলিপুরের তৎকালীন মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে চার্জশিট পেশ করে। বাম আমলের ওই মামলাটি পরবর্তী সময়ে বিচারের জন্য যায় আলিপুরের দায়রা কোর্টে। সেখানে অভিযুক্ত হিসেবে থাকেন একমাত্র লালু আলম। সেখানে সরকারি তরফে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাক্ষ্য শুরু হলেও তাঁর জিজ্ঞাসাবাদপর্ব অসমাপ্ত থাকে। ২০১১ সালে রাজ্যে পালাবদলের পর ফের মামলাটি ‘আলোর মুখ’ দেখে। সরকারপক্ষ থেকে কোর্টের কাছে আবেদন জানানো হয়, যেহেতু উনি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) নানা সময় প্রশাসনিক কাজে ব্যাস্ত থাকেন, তাই এই মামলায় তাঁর সাক্ষ্য নেওয়া হোক ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে। দু’তরফে সওয়াল শেষে বিচারক ওই আবেদন মঞ্জুর করেন। কিন্তু তারপরও পরবর্তী সময় সরকারপক্ষ থেকে বলা হয়, ভিডিও ব্যবস্থার পরিকাঠামো এখনও তৈরি হয়নি। তাছাড়া গুরুত্বপূর্ণ কিছু সাক্ষীও মারা গিয়েছেন। তাই অন্য আইনি প্রক্রিয়া বন্ধ করে মামলাটির দ্রুত নিষ্পত্তি করা হোক।
এদিন এই মামলার বিষয়ে সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম বলেন, মিথ্যার রাজনীতি করলে বেশি দূর এগনো যায় না। এখন বিষয়টি দিনের আলোর মতো স্পষ্ট হয়ে গেল। অন্যদিকে, কংগ্রেস বিধায়ক তথা বিরোধী দলনেতা নেতা আব্দুল মান্নান বলেন, ওই সময় ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের চেষ্টা হয়েছিল।