কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
গত মাসের ১৪ তারিখ দিল্লিতে বিজেপির সদর দপ্তর দীনদয়াল ভবনে শেষবার দেখা গিয়েছিল তৃণমূলের দুইবারের বিধায়ক দেবশ্রীকে। ওই দিনই তৃণমূলের আরেক বিধায়ক তথা কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপিতে যোগ দিতে সেখানে গিয়েছিলেন। শোভনের যোগদানের বিষয়টি পূর্বঘোষিত হলেও দীনদয়াল ভবনে দেবশ্রীর উপস্থিতি নিয়ে কৌতূহল তৈরি হয়। শেষ পর্যন্ত দেবশ্রী বিজেপিতে যোগ দেননি। বিজেপির সদর দপ্তর থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর থেকে তাঁর খোঁজ পাওয়া যায়নি। স্বাভাবিক কারণেই, তাঁর বিজেপিতে যোগ দেওয়া নিয়ে নানা জল্পনা তৈরি হতে থাকে। প্রতিপক্ষ দলের কেন্দ্রীয় দপ্তরে তাঁকে দেখা গিয়েছে— এই নিয়ে তৃণমূলের বিড়ম্বনাও বাড়তে থাকে। দলের মহাসচিব তথা শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির আহ্বায়ক পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান, তাঁরা সব দিকে নজর রাখছেন। তবে, দলের পক্ষ থেকে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হবে কি না, সেবিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। এমনকী কী কারণে বা কার মধ্যস্থতায় তিনি বিজেপির সদর দপ্তরে হাজির হলেন, সে নিয়ে মুখ খোলা তো দূর, তাঁকে ফোন করেও সাড়া মেলেনি। দলীয় নেতৃত্বও তাঁর হদিশ দিতে পারেনি।
দেবশ্রীর এই অন্তর্ধানকে কেন্দ্র করে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের নানা মন্তব্য পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলেছিল। সদ্য শেষ হওয়া রাজ্য বিধানসভার অধিবেশনেও তিনি গরহাজির ছিলেন। দেবশ্রীকে ঘিরে এই চলতি বিতর্কের মধ্যেই এদিন দুপুরে হঠাৎ তাঁর আগমন বিধানসভায়। স্বাধিকার বিষয়ক স্টান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান পদাধিকারবলে ডেপুটি স্পিকার সুকুমার হাঁসদা। বিধানসভায় দোতলায় তাঁর চেম্বারে কমিটির বৈঠকে হাজির হয়েছিলেন দেবশ্রী। বৈঠকের পর তিনি চৌরঙ্গির তৃণমূল বিধায়ক নয়নাকে ডেকে নিয়ে কথা বলেন। পরে একতলায় মহিলা বিধায়কদের ঘরে কিছুক্ষণ দুজনে কথাবার্তা বলেন। তবে, নয়না এই বিষয়ে কিছু বলেননি। আরেক বিধায়ক মালা সাহাও সেই সময় বিধানসভায় ছিলেন। দেবশ্রী তাঁর সঙ্গে অবশ্য কোনও কথা বলেননি। বিধানসভার অলিন্দে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে কোনও জবাব না দিয়েই তিনি গাড়িতে উঠে পড়েন।