কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
তার বদলে পুরসভাকে আধুনিক ও স্মার্ট করে তোলার জন্য ১৫টি নতুন পদ সৃষ্টির পরিকল্পনা করা হয়েছে। সেসব পদের মধ্যে অন্যতম হল ল’অফিসার, সিস্টেম অ্যানালিস্ট, হেল্থ অফিসার, এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার, স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ার, অতিরিক্ত স্যানিটরি ইন্সপেক্টর প্রভৃতি। পুর দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিটি পুরসভায় এখন নানা ইস্যুতে মামলা মোকদ্দমা লড়তে হয়। তাই আইনি পরামর্শ নিতেই প্রতি পুরসভায় আইন দপ্তরের অধীনে রাজ্য লিগ্যাল সার্ভিস থেকে ল’অফিসার নিয়োগ করা হবে। প্রতিটি পুরসভায় কম্পিউটারে কাজ করা হয়। তাই সেকথা মাথায় রেখেই কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশনে ডিপ্লোমার মতো শিক্ষাগত যোগ্যতা রয়েছে, এমন পার্সোনাল অ্যাসিস্ট্যান্ট পদ সৃষ্টি করা হল।
একই কারণে সিস্টেম অ্যানালিস্ট পদ সৃষ্টি করা হয়েছে। ওই পদে নিয়োগ করা হবে এমসিএ, এমএসসি, বিই, বি টেক ইন ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বা ইনফরমেশন টেকনোলজি বা কম্পিউটার সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করা যুবাদের। এছাড়া কোনও আইটি সংস্থায় পাঁচ বছরের কাজের অভিজ্ঞতা থাকলেও হবে। আসলে প্রতিটি পুরসভাকে স্মার্ট করে তুলতেই এই পদ সৃষ্টি করা হচ্ছে। রাজ্য সরকার চায়, প্রতিটি পুরসভায় ই-অফিস চালু হোক। সিস্টেম অ্যানালিস্টরা সেই কাজ করবেন। কম্পিউটারের যাবতীয় কাজ, ল্যান সিস্টেম চালু, সফটওয়্যার, হার্ডওয়ার সংক্রান্ত সব কাজ করবেন তাঁরা।
এতদিন এ, বি, সি ক্যাটিগরির পুরসভায় অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার পদমর্যাদার ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন। এবার কাজের সুবিধার জন্য এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার পদ সৃষ্টি হল। তাঁরা বিভিন্ন নির্মাণ কাজের পরিকল্পনা দায়িত্ব নিয়ে করতে পারবেন। এছাড়াও বিধাননগর, শিলিগুড়ি, আসানসোলের মতো পুরনিগমগুলিতে স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ার পদ সৃষ্টি করা হল। কারণ, বহুতল বিল্ডিং তৈরি হচ্ছে ওই সব নিগম এলাকায়। পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম চান, দ্রুতগতিতে কাজের জন্য প্রতিটি পুরসভায় ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিসের সেট আপ তৈরি করা হোক। ইঞ্জিনিয়াররা মিউনিসিপ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের অধীনে থাকবেন। তাঁদের জন্য বদলি প্রথাও চালু হবে।
এছাড়া আগে পুরসভায় একজন করে স্যানিটারি ইন্সপেক্টর ছিলেন। এখন জঞ্জাল অপসারণ ব্যবস্থাপনা দেখভাল করার জন্য অতিরিক্ত একজন করে স্যানিটারি ইন্সপেক্টর নিয়োগ করা হবে। আধুনিক শহরের সবচেয়ে বড় সমস্যা হল জঞ্জাল অপসারণ। পুর দপ্তরের পক্ষ থেকে বেশ কিছু পদ অবলুপ্ত করা ও নতুন পদ সৃষ্টি করার পরিকল্পনা তৈরি করে রাজ্য মন্ত্রিসভায় পেশ করা হবে। এ ব্যাপারে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, কিছু কিছু পদের কোনও প্রয়োজনীয়তা নেই। তাই অবলুপ্ত করে আর সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ইঞ্জিনিয়ারের সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। নতুন নতুন আরও কিছু পদ তৈরি করা হবে।