কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
যুব মোর্চার ডাকে এদিন ভিক্টোরিয়া হাউস চলো কর্মসূচি ছিল। গোটা দেশের তুলনায় এরাজ্যে বিদ্যুতের মাশুল বেশি, মিটার রিডিংয়ের ক্ষেত্রেও কারচুপি করা হচ্ছে ইত্যাদি একাধিক ইস্যুতে এই অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছিল। বেলা ১১টা নাগাদ বিজেপির রাজ্য দপ্তরের সামনে থেকে মিছিল শুরু হয়। ৯টায় তা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বৃষ্টির কারণে দেরি হয়। মিছিলে ছিলেন রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু, এমপি লকেট চট্টোপাধ্যায় সহ একাধিক নেতানেত্রী। মিছিল চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ ধরে সিইএসসি’র অফিসের দিকে এগনোর সময় চাঁদনি চকে (ই-মলের সামনে) ব্যারিকেড করে মিছিল আটকে দেয় পুলিস।
এরপরই পুলিসের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। ব্যারিকেড ভেঙে সামনের দিকে এগনোর চেষ্টা করে গেরুয়া বাহিনী। তাদের সরাতে জলকামান ব্যবহার করা হয়। তাসত্ত্বেও যুব মোর্চার সমর্থকরা পুলিসকে ধাক্কা দিয়ে এগনোর চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের আটকাতে পুলিস কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটায়। ছত্রভঙ্গ হয়ে যান বিক্ষোভে আসা সমর্থকরা। চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ লাগোয়া গলিতে ঢুকে পড়েন তাঁরা। রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসুর অভিযোগ, পুলিস বিনা প্ররোচনায় তাঁদের সমর্থকদের উপর লাঠি ও জলকামান ব্যবহার করেছে। এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে, রাজ্যে কোনও গণতন্ত্র নেই। রাজ্য সরকার দাবি করে, এরাজ্যে বিদ্যুৎ উদ্বৃত্ত। অথচ দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিদ্যুতের মাশুল গুনতে হয় রাজ্যবাসীকেই। যুব মোর্চার অভিযোগ, পুলিস গলিতে ঢুকে তাঁদের সমর্থকদের লাঠিপেটা করেছে। তাতে অন্ততপক্ষে ৫০ জন সমর্থক আহত হয়েছেন। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, কলকাতায় যুব মোর্চার মিছিল শান্তিপূর্ণ ছিল। তা সত্ত্বেও পুলিস বিজেপি কর্মীদের উপর লাঠি চালিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার এখন প্রতিবাদ করলেই প্রতিবাদীদের উপর আক্রমণ শানাচ্ছে।
এদিকে পুলিসের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, যুব মোর্চার তরফে প্রথমে তাদের জানানো হয়, মিছিল ই-মল পর্যন্ত যাবে। সেখানে তাঁদের কর্মী-সমর্থকরা জমায়েত হবেন। বক্তৃতা হবে। পরে তাঁদের ১০ জনের এক প্রতিনিধিদল যাবে সিইএসসি অফিসে। সেইমতো প্রস্তুত ছিল পুলিস। হাজির ছিলেন লালবাজারের একাধিক কর্তা। পরিস্থিতি কোনও কারণে উত্তপ্ত হলে তা সামাল দিতে সেন্ট্রাল ডিভিশনের সব থানা থেকেই ফোর্স আনা হয়। পর্যাপ্ত সংখ্যক মহিলা পুলিসও ছিল। হাজির ছিলেন ডিসি সেন্ট্রাল সুধীর নীলকান্ত। ব্যারিকেডের সামনে ছিলেন পুলিস কর্মীরা। হঠাৎই মিছিলে আসা সমর্থকরা উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। কোনও কারণ ছাড়াই তাঁরা পুলিস কর্মীদের সঙ্গে তর্ক জুড়ে দেন এবং ব্যারিকেড ভেঙে এগনোর চেষ্টা করেন। পুলিস কর্মীরা বাধা দিলেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন যুব মোর্চার কর্মী-সমর্থকরা। এরপর পুলিসকে লক্ষ্য করে ইট বৃষ্টি শুরু হয়। যুব মোর্চার সমর্থকদের ছোঁড়া ইটে আঘাত পান বড়বাজার থানার ওসি সহ বেশ কয়েকজন। তাঁদের চিকিৎসা করানো হয় সরকারি হাসপাতালে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিস ৮৫ জন যুব মোর্চার সমর্থককে গ্রেপ্তার করে। তাঁদের বিরুদ্ধে গোলমাল পাকানোর অভিযোগ আনা হয়েছে। কারা পুলিসকে লক্ষ্য করে ইট ছুঁড়েছে, তা সিসিটিভি’র ফুটেজ দেখে চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। ইট সঙ্গে নিয়ে আসা হয়েছিল কি না, তাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।