কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, অসমের পর বাংলায় এনআরসি চালু করা নিয়ে তৎপরতা শুরু হয়েছে গেরুয়া শিবিরে। গত লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে রাজ্যে এসে বাংলায় এনআরসি চালু করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। দ্বিতীয়বারের জন্য নরেন্দ্র মোদি সরকার কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার পর শুধু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহই নন, বিজেপির ছোট-বড় নেতা-মন্ত্রী রাজ্যে এনআরসি চালুর দাবিতে সরব হয়েছেন। এ রাজ্যে এনআরসি কোনওভাবেই চালু করতে দেওয়া হবে না বলে পাল্টা হুঁশিয়ারি শোনা গিয়েছে তৃণমূল সুপ্রিমোর গলায়। এমনকী হিন্দুত্ববাদের ধ্বজাকে সামনে রেখে যে গেরুয়া শিবিরের রাজনৈতিক উত্থান, এনআরসি তালিকা থেকে তাদের শাসনে থাকা অসমে প্রায় ১০ লক্ষ হিন্দুর নাম কীভাবে বাদ গেল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন মমতা। এনআরসি বিরোধিতায় এ রাজ্যে তাঁকে সহচর্য দিচ্ছে বাম-কংগ্রেস। সম্প্রতি বিধানসভায় এনআরসি বিরোধিতায় যে প্রস্তাব সরকারের তরফে আনা হয়েছিল, তাকে খোলাখুলি সমর্থন দিয়েছিল বাম-কংগ্রেস। বিজেপি অবশ্য ওই প্রস্তাবের বিরোধিতা করে বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট করে। এরকম একটা রাজনৈতিক আবর্তের মধ্যে এই ইস্যুতে মমতার মিছিল যথেষ্ট প্রাসঙ্গিক বলে মনে করছে জোড়াফুল শিবির। শুধু এনআরসি’ই নয়, দেশের ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক মন্দা নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে মমতার সুরে সুর মেলাবেন মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা।
এদিকে, মুখ্যমন্ত্রীর এই মিছিলকে কেন্দ্র করে তাঁর নিরাপত্তার জন্য তৎপর রয়েছে পুলিস। সিঁথি মোড় থেকে শ্যামবাজার পর্যন্ত বিটি রোডে শক্তপোক্ত ব্যারিকেড করার জন্য পুলিসের অনুরোধেই টেন্ডার ডেকেছে পূর্ত দপ্তর। দপ্তর সূত্রে জানা গিয়ে, জেড প্লাস ক্যাটিগরির নিরাপত্তা পাওয়া মুখ্যমন্ত্রীর এই মিছিলকে নির্বিঘ্ন রাখতে কোনও ফাঁকফোকর চাইছে না পুলিস। তাঁর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ডিরেক্টর সিকিউরিটির তরফে গত ৯ সেপ্টেম্বর পূর্ত দপ্তরকে চিঠি দিয়ে (মেমো নম্বরঃ ২০৫৭/ডিএস) বি টি রোডে শক্তপোক্ত অস্থায়ী ব্যারিকেড করার জন্য বলা হয়েছিল। সেই চিঠির সূত্র ধরেই গত ১০ সেপ্টেম্বর পূর্ত দপ্তরের কলকাতা সেন্ট্রাল ডিভিশন ব্যারিকেড গড়ার জন্য টেন্ডার ডাকে। বলা হয়, বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টার মধ্যে জমা দিতে হবে দরপত্র। পূর্ত দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন বিকেলেই দরপত্র খোলা হয়। দরপত্র প্রাপককে বলা হয়েছে আজ, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার মধ্যে ব্যারিকেডের কাজ শেষ করতে হবে।