পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
কলেজে প্রথমবর্ষে ভর্তির প্রক্রিয়া চালু হতেই রাজ্যজুড়ে বিভিন্ন জায়গায় সাইবার কাফেতে ফর্ম পূরণ করা হয় বলে পোস্টার দেওয়া হয়। তার বিনিময় টাকাও নেওয়া হয়। কোথাও আবার পৃথক এমন হেল্প সেন্টার খুলে ফর্ম পূরণের ব্যবস্থা করা হয়। বছরের পর বছর তা চলে এসেছে। শিক্ষামন্ত্রী যদিও এমন সব হেল্প সেন্টার না করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। তবে এবার সরকার নিজেই এই রকম কেন্দ্র খুলে অনলাইনে ভর্তির ফর্ম পূরণে পড়ুয়াদের সাহায্য করতে এগিয়ে আসছে। পার্থবাবুর কথায়, আর্থিক ব্যাপার যেমন আছে, তেমনই এই সব কেন্দ্রে অনেক সময় প্রার্থীদের ফর্ম পূরণ করে দেন হেল্প ডেস্ক অথবা কাফের কর্মীরা। তাতে ভুল একটা কিছু হয়ে গেলেই ওই পড়ুয়ার ফর্ম বাতিল হয়ে যায়। তা যাতে না হয়, তার জন্য সরকারের তরফে এই কেন্দ্র খোলা হবে। তবে কোথায় এবং ক’টা করে এই রকম কেন্দ্র হবে, সে ব্যাপারে অবশ্য এদিন স্পষ্ট করে কিছু জানাননি মন্ত্রী।
এদিন শিক্ষামন্ত্রী সরকারি সমস্ত নির্দেশের সঙ্কলন নিয়ে বই প্রকাশ করেন। স্কুল এবং উচ্চ শিক্ষায় প্রথম থেকে আজ পর্যন্ত যাবতীয় বিজ্ঞপ্তি ও নির্দেশিকা নিয়ে এই বই তৈরি করা হয়েছে। মন্ত্রীর কথায়, সঠিক বিজ্ঞপ্তি পেশ না করার জন্য বিভিন্ন মামলায় সরকারের হার হয়েছে। একাধিক বিচারপতির সঙ্গে কথা বলে এমনটাই জেনেছেন বলে জানান তিনি। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আগে তো এসবের কোনও সুযোগ ছিল না। এবার সমস্ত বিজ্ঞপ্তি একত্রিত করে তা বই করে রাখা হল। যখন যেমন প্রয়োজন হবে, সেইভাবে ব্যবহার করার জন্য আধিকারিক-কর্তাদের পরামর্শ দিলেন তিনি। পাশাপাশি, পেনশন সংক্রান্ত বিষয় আধিকারিকরা যাতে আরও মানবিকভাবে দেখেন, তারও আবেদন জানিয়েছেন মন্ত্রী। এছাড়াও এদিন মূল্যবোধের উপর পুস্তিকা প্রকাশ করেন মন্ত্রী। প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণীর জন্য এই বই তৈরি করা হয়েছে।
এদিনের অনুষ্ঠানে স্বামী বিবেকানন্দ মেরিট কাম মিনস স্কলারশিপের পোর্টালের সূচনা করেন মন্ত্রী। এইবারের পোর্টালে বাড়তি কিছু সুবিধা যুক্ত করা হয়েছে বলে তিনি জানান। এই পোর্টালে ওটিপি’র মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন, এমফিল-পিএইচডি প্রার্থীদের অনলাইনে নাম নথিভুক্ত করার সুবিধা থাকবে। তার সঙ্গে কোনও প্রার্থীর যদি অভিযোগ থাকে, তাও পোর্টালে জানানোর সংস্থান রাখা হয়েছে। কতজন এই স্কলারশিপ পেয়েছেন, তার পরিসংখ্যানও দেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, ২০০৭ সালে ৫৪৪ জন এই আর্থিক সাহায্য পেতেন। ২০১৮-১৯ সালে সেই সংখ্যা ১ লক্ষ ২০ হাজার ৮০৩-এ গিয়ে দাঁড়িয়েছে। স্কলারশিপের বরাদ্দ টাকাও ৯ কোটি ৪৫ লক্ষ থেকে বেড়ে ২১১ কোটি হয়েছে।