বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
কেন্দ্র শেয়ার কমিয়ে দেওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পগুলির নাম বদলে দিয়েছেন। যেমন প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার তিনি নাম দিয়েছেন বাংলার গ্রামীণ সড়ক যোজনা। প্রধানমন্ত্রীর গ্রামীণ আবাস যোজনার নাম দিয়েছেন বাংলার আবাস যোজনা। স্বচ্ছ ভারত মিশনের নাম দিয়েছেন মিশন নির্মল বাংলা। হাউজিং ফর অল প্রকল্পের নাম দিয়েছেন বাংলার বাড়ি। এনআরএলএম (ন্যাশনাল রুরাল লাইভলিহুড মিশন)-এর নাম দিয়েছেন আনন্দধারা। এনইউএলএম (ন্যাশনাল আর্বান লাইভলিহুড মিশন)-এর নাম দিয়েছেন কর্মতীর্থ। শুধু নাম পরিবর্তন নয়, রাজ্যের নিজস্ব লোগো ব্যবহারের সিদ্ধান্তও নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রতিটি প্রকল্পের জন্য আলাদা লোগোও তৈরি করা হয়েছে। যেমন স্বচ্ছ ভারত মিশনের লোগো হল চশমা, আর রাজ্যে মিশন নির্মল বাংলা প্রকল্পের লোগো হল উদিত সূর্য। প্রতিটি কেন্দ্রীয় প্রকল্পের লোগো তৈরি করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু এ রাজ্যে বহু ক্ষেত্রেই সেই লোগো ব্যবহার করা হচ্ছে না বলে কেন্দ্রের কাছে খবর আসে। লোগো লাগানো প্রকল্পের ছবি চেয়ে পাঠানো হয়। সেই ছবির জিআই ট্যাগিং করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক প্রতিটি ক্ষেত্রে লোগো ও প্রকল্পের নাম ব্যবহারের নির্দেশ দিলেও রাজ্য তা পাত্তা দিতে রাজি নয়। কেন্দ্রীয় সরকারের সব থেকে বেশি প্রকল্প চলে পঞ্চায়েত দপ্তরে। এ ব্যাপারে পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের বক্তব্য হল, যেহেতু প্রকল্পের টাকা দিল্লি পুরো দিচ্ছে না, তাহলে শুধুমাত্র নাম কেনার জন্য কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নাম ও লোগো কেন ব্যবহার করা হবে? রাজ্যের লোগোও থাকতে হবে। আবার পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, বাংলার বাড়ি প্রকল্পে ৬ লক্ষ ৩৯ হাজার টাকার মধ্যে মাত্র দেড় লক্ষ টাকা দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। উপভোক্তা দেয় ২৫ হাজার টাকা। বাকি সব টাকা দেয় রাজ্য সরকার। তাহলে শুধু কেন্দ্রের লোগো লাগানো হবে কেন?
এই চাপানউতোরে এটা পরিষ্কার যে, রাজ্য সরকার কেন্দ্রীয় লোগো ব্যবহার করতে চায় না। এই ইস্যুতে বিরোধ শুরু হয়েছে দু’পক্ষের মধ্যে। এর আগে বৈদ্যবাটিতে বাংলার বাড়ি প্রকল্পের কাজ দেখতে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন মন্ত্রকের অফিসার। যেখানে যেখানে কেন্দ্রীয় লোগো লাগানো হয়েছে, তা দেখে অসন্তোষ প্রকাশ করেন ওই অফিসার। তিনি বলেন, এমন জায়গায় লোগো লাগাতে হবে, যাতে সকলের নজরে পড়ে। আবার রাজ্যের লোগো চোখের সামনে না থাকলে রাজ্য সরকারের শীর্ষকর্তাদের রোষের মুখে পড়তে হতে পারে এই আশঙ্কায় অফিসাররা চাপে থাকেন। তাই চাপে পড়ে রাজ্যের লোগো ভালো জায়গায় ব্যবহারের পাশাপাশি কম গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় কেন্দ্রের লোগো লাগাচ্ছেন অফিসাররা।