ঝগড়া এড়িয়ে চলার প্রয়োজন। শরীর স্বাস্থ্য বিষয়ে অহেতুক চিন্তা করা নিষ্প্রয়োজন। আজ আশাহত হবেন না ... বিশদ
হাসপাতাল এবং সিপিএম পার্টি সূত্রের খবর, হাসপাতালে যে চিকিৎসকরা গত শুক্রবার রাত থেকে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে দেখছিলেন, আপাতত তাঁরাই ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে বাড়িতেও তাঁর তত্ত্বাবধানে থাকছেন। এদিন হাসপাতাল থেকে বাড়িতে ফেরার জন্য প্রথমে অ্যাম্বুলেন্সে যেতে চাননি। এজন্য একদা তাঁর ব্যবহৃত একটি সরকারি গাড়িকেও হাসপাতাল চত্বরে দেখা যায়। তবে তাঁর শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে চিকিৎসকরা এই প্রস্তাবে রাজি হননি। বুদ্ধদেববাবুও এ নিয়ে আর বিশেষ জোরাজুরি করেননি। তাই হাসপাতালের আধুনিক ব্যবস্থাসম্পন্ন একটি অ্যাম্বুলেন্সেই বাড়ি ফেরেন তিনি। তার আগে নাকে অক্সিজেনের নল সমেত স্ট্রেচারে চাপিয়ে তাঁকে তোলা হয় তাতে। এই সময় ঘাড় ঘুরিয়ে চারদিক একবার দেখে নেন তিনি। মিডিয়ার ভিড় ও ঠেলাঠেলি দেখে মৃদু স্বরে দু’-একটি কথাও বলেন। যে চিকিৎসকের অধীনে তিনি ভর্তি হয়েছিলেন, সেই ডাঃ কৌশিক চক্রবর্তীও যান তাঁর সঙ্গে। পাম অ্যাভিনিউয়ের বাড়িতে নির্দিষ্ট ঘরে বুদ্ধদেববাবুকে ঢোকানোর পর অক্সিজেন, বাইপাপ, হাতে চ্যানেল মারফত অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়ার মতো যাবতীয় বন্দোবস্তর তদারকি করেন তিনি এবং তাঁর সহকারীরা।
বুদ্ধদেববাবুকে হাসপাতালে দেখতে সূর্যকান্ত মিশ্র, বিমান বসু, সুজন চক্রবর্তী, শ্যামল চক্রবর্তী, রবিন দেবসহ দলের তাবড় নেতারা দফায় দফায় গিয়েছিলেন। তবে তাঁর চিকিৎসার ব্যাপারে হাসপাতালের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষার দায়িত্বে ছিলেন পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম। আর চিকিৎসকদের বোর্ডেই ছিলেন অপর নেতা ডাঃ ফুয়াদ হালিম। এই দু’জনকে বুদ্ধদেববাবু বারবার হাসপাতাল থেকে তাঁকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে সবচেয়ে বেশি অনুরোধ জানিয়েছিলেন। এদিন সেলিম বলেন, ওঁর অনুরাগীদের শুভেচ্ছায় এবং চিকিৎসকদের প্রচেষ্টায় বুদ্ধদা মোটামুটি সুস্থ হয়ে এদিন বাড়ি ফিরেছেন। পার্টি ওঁর চিকিৎসার যাবতীয় দায়িত্ব পালন করছে। সিপিএম ছাড়াও অবশ্য বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের তরফে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর দ্রুত আরোগ্য কামনা করা হয়েছে।