ঝগড়া এড়িয়ে চলার প্রয়োজন। শরীর স্বাস্থ্য বিষয়ে অহেতুক চিন্তা করা নিষ্প্রয়োজন। আজ আশাহত হবেন না ... বিশদ
পঞ্চায়েত দপ্তর থেকে জেলায় জেলায় পাঠানো নির্দেশিকার [নং-৭১০৮ (২৩)/আরডি/আইএওয়াই/১৭এম-০৩/২০১৩] ছ’নম্বর পয়েন্টে পরিষ্কার বলা হয়েছে, সব রকম অনিয়ম এড়িয়ে চলতে হবে। কোনও স্তরেই উপভোক্তার কাছে টাকা চাওয়া যাবে না। যদি কোনও অভিযোগ ওঠে, তাহলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এই ভাবে নির্দেশিকা পাঠিয়ে টাকা না নেওয়ার ফরমান আগে কখনও জারি হয়নি। উল্লেখ্য, গ্রামাঞ্চলে এই প্রকল্পে কাটমানির অভিযোগ সব থেকে বেশি উঠেছে। গ্রামীণ এলাকায় একটি বাড়ি করার জন্য ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। জঙ্গলমহলে সেই টাকা বেড়ে হয় ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা। অভিযোগ ছিল, বাড়ি পেতে ২০ হাজার টাকা করে দিতে হচ্ছে গ্রাম পঞ্চায়েত কর্তাদের। এমন অভিযোগ ভবিষ্যতে যাতে আর না ওঠে, তার জন্যই কড়া ব্যবস্থা নিতে লিখিত নির্দেশ পাঠানো হল। এই প্রকল্পে কেন্দ্র দেয় ৬০ শতাংশ ও রাজ্য দেয় ৪০ শতাংশ টাকা।
গত লোকসভা নির্বাচনের সময় থেকেই এই প্রকল্পের কাজ থমকে ছিল। এখন ফের শুরু হল। ১৩টি জেলায় ৬ লক্ষ ১৭ হাজার ৪৮২টি বাড়ি তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছে। এর মধ্যে ৪ লক্ষ ৩২ হাজার বাড়ি রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে। তার মধ্যে অনুমোদিত হয়েছে ১ লক্ষ ৩২ হাজার ৮৪৭টি বাড়ি। অনুমোদনের পর উপভোক্তাকে ডেকে এই প্রকল্প সম্পর্কে সচেতন করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিডিওরা এই ধরনের উপভোক্তা সচেতনতা শিবির করবেন। সেখানে তাঁদের বোঝানো হবে, কী ধরনের বাড়ি হবে। ঘর কত বড় হবে, রান্না ঘর কেমন হবে, ইত্যাদি। তিনটি কিস্তিতে টাকা দেওয়া হবে। জঙ্গলমহলে প্রথম কিস্তিতে ৬০ হাজার টাকা, দ্বিতীয় কিস্তিতে ৬০ হাজার টাকা এবং তৃতীয় কিস্তিতে ১০ হাজার টাকা। আর অন্যত্র প্রথম কিস্তিতে ৬০ হাজার টাকা, দ্বিতীয় কিস্তিতে ৫০ হাজার টাকা এবং তৃতীয় কিস্তিতে ১০ হাজার টাকা দেওয়া হবে।
প্রথম কিস্তির টাকা খুব শীঘ্রই পাঠিয়ে দেওয়া হবে বলে জেলাশাসকদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। ১২০ দিনের মধ্যে সমস্ত বাড়ি তৈরির কাজ শেষ করতে হবে বলে নির্দেশিকায় বলা হয়েছে। প্রতিটি স্তরে উপভোক্তা সহ বাড়ির ছবি অনলাইনে জিও ট্যাগিং করে পাঠাতে হবে। দিল্লিতে বসেই তা দেখতে পারবেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের অফিসাররা।
গত আর্থিক বছরে এই প্রকল্পে রাজ্যে ৫ লক্ষ ৮৬ হাজার বাড়ি তৈরি হয়েছে। সেই সব বাড়ি নিয়ে কাটমানির বেশ কিছু অভিযোগ উঠেছে। এবার ৮ লক্ষ ৩০ হাজার বাড়ি তৈরির লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়। তবে এখনও সব জেলায় বাড়ি তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়নি। সোশিও ইকোনমিক কাস্ট সেনসাস অনুযায়ী, রাজ্যে ৩৮ লক্ষ বাড়ি তৈরির লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করেছে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক। তার মধ্যে ১৪ লক্ষ বাড়ি তৈরি হয়ে গিয়েছে। ২০২২ সালের মধ্যে বাকি ২৪ লক্ষ বাড়ি তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে।