বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৯৯০-এর দশকে রাজ্য সরকারি কর্মীদের পেনশন আদালত হয়েছিল। তারপর আর এই ধরনের কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। প্রসঙ্গত, রাজ্য সরকারি কর্মীদের পেনশন চূড়ান্ত অনুমোদন সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে পাঠানো রেকর্ডের ভিত্তিতে এজি অফিস দেয়। এজি অফিস অনুমোদন দিলে তবেই সরকারি কর্মীরা অবসরের পর পেনশন পেতে শুরু করেন।
প্রিন্সিপাল অ্যাকাউন্ট্যান্ট জেনারেল অফিস থেকে গত ১৯ আগস্ট রাজ্য অর্থ দপ্তরকে পেনশন আদালত আয়োজনের চিঠি দেওয়া হয়েছে। ওই চিঠির সঙ্গে ২৯ তারিখের পেনশন আদালতে নিষ্পত্তির জন্য যাঁদের কেসগুলি উঠবে, তাঁদের নামের তালিকা দেওয়া হয়েছে। ওই তালিকায় নাম আছে মোট ৮৪ জনের। তালিকাভুক্তরা সরকারের কোন দপ্তরে কাজ করতেন, কবে অবসর নিয়েছেন, মারা গেলে তার তারিখ কত, আবেদনের নম্বর ও কবে তা ফের পাঠানো হয়েছে, তা উল্লেখ করা হয়েছে। ওই তালিকা অনুযায়ী ৮৪ জনের মধ্যে ৫১ জন ইতিমধ্যে মারা গিয়েছেন। কৃষি, প্রাণিসম্পদ, শিল্প-বাণিজ্য, অর্থ ও আবগারি, দমকল, খাদ্য দপ্তর, উপভোক্তা ও বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর থেকে অবসর নেওয়া কর্মীরা আছেন। তালিকায় দেখা যাচ্ছে, ১৯৭১, ১৯৭৮, ১৯৭৯ সালে অবসর নেওয়া কর্মীদের এখনও পেনশন চূড়ান্ত হয়নি। আবার পেনশন চূড়ান্ত না হয়ে ১৯৭৯, ১৯৮১ সালে মারা গিয়েছেন এমন নামও ওই তালিকায় রয়েছে। সরকারি সূত্রে বলা হয়েছে, মৃত অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের পেনশন এখন চূড়ান্ত হলে তাঁর স্ত্রী বা পরিবারের অন্য কোনও সদস্য আর্থিক সুবিধা পাবেন।
এজি অফিস থেকে অর্থ দপ্তরকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট কেসগুলি যে পেনশন অনুমোদন কর্তৃপক্ষের আওতাধীন, তাদের পেনশন আদালতে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। যাঁদের পেনশন কেস অমীমাংসিত রয়েছে, তাঁদেরও এজি অফিস থেকে পেনশন আদালতে আসার জন্য যোগাযোগ করা হয়েছে। সরকারি সূত্রের খবর, বহু সরকারি কর্মীর পেনশন অনুমোদন নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। সার্ভিস বুকে ভুল তথ্য থাকলে পেনশন পেতে সমস্যা হয়। আরও নানা কারণে পেনশন আটকে যায়। কিন্তু কারণ যাই হোক না, পেনশন আটকে গেলে অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মীরা চূড়ান্ত নাকাল হন। অনেকের অবশ্য পেনশন চূড়ান্ত না হলেও অ্যাডহক বরাদ্দ করে দেওয়া হয়। কিন্তু তাঁরা প্রাপ্য পুরো পেনশন থেকে বছরের পর বছর বঞ্চিত হতে থাকেন।
কেন্দ্রীয় সরকারি অফিসগুলিতে আটকে যাওয়া পেনশন কেস মেটানোর জন্য মাঝে মাঝে পেনশন আদালত হয়। ২৩ আগস্ট কলকাতা সহ গোটা দেশে বিশেষ পেনশন আদালত হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারি অফিসে। কেন্দ্রীয় পার্সোনেল মন্ত্রক থেকে ২৩ আগস্ট পেনশন আদালত করার জন্য রাজ্য সরকারকেও চিঠি দেওয়া হয়। এজি অফিস থেকে রাজ্য সরকারকে বিষয়টি জানানো হয়। এরপর অবশ্য এজি অফিস থেকে রাজ্য সরকারের অবসরপ্রাপ্তদের জন্য পেনশন আদালতের আয়োজন করা হচ্ছে।