কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
আয়কর দু’রকমের। একটি কর্পোরেট বা কোম্পানি কর, অন্যটি ব্যক্তিগত কর। দ্বিতীয় ক্ষেত্রে কারা কত টাকা কর দিয়েছেন গত আর্থিক বছরে, তার একটি তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। সেই তালিকায় প্রথম স্থান পেয়েছেন মনোজ খেমকা। গত আর্থিক বছরে, ২০১৮ সালের এপ্রিল থেকে গত মার্চ মাস পর্যন্ত তিনি ব্যক্তিগত আয়কর জমা করেছেন প্রায় ৪৫ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা। দ্বিতীয় স্থানাধিকারী বিড়লা কর্তা কুমারমঙ্গলম বিড়লা। তিনি গত আর্থিক বছরে আয়কর দিয়েছেন ৩৪ কোটি ৬৭ লক্ষ টাকা। তৃতীয় স্থানে আছেন গিরিরাজ মাহেশ্বরী। তাঁর দেওয়া আয়করের পরিমাণ ২৪ কোটি ৫ লক্ষ টাকা। রাজ্যের সেরার তালিকায় চতুর্থ করদাতার নাম বিবেক আগরওয়াল। তাঁর ইনকাম ট্যাক্সের পরিমাণ ২৩ কোটি ১৮ লক্ষ টাকা। পঞ্চম স্থানে আছেন জিতমল চোরারিয়া। তাঁর দেওয়া আয়করের অঙ্ক ২০ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা।
আসা যাক বাঙালিদের তালিকায়। বিখ্যাত জুতো সংস্থার কর্ণধার অগ্রিম আয়কর বাবদ গত অর্থবর্ষে যে টাকা জমা করেছেন, তার অঙ্ক ১১ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা। এরপরই আছেন সব্যসাচী মুখোপাধ্যায়। তিনি দিয়েছেন ৬.৬ কোটি টাকা। বাঙালিদের কর দেওয়ার তালিকায় সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের স্থান চতুর্থ। সাড়ে পাঁচ কোটি টাকা আয়কর দিয়েছেন তিনি। আয়কর কর্তারা বলছেন, একটা সময় ছিল, যেখানে রাজ্যের সেরা করদাতাদের তালিকায় প্রথম নাম থাকত সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের। এখন শীর্ষে না থাকলেও, তিনি সেরা ১০০ থেকে সরে যাননি।
আসা যাক সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে এ রাজ্যের করদাতাদের অবস্থানে। গত আর্থিক বছরের শেষ তিন মাসে, অর্থাৎ গত জানুয়ারি থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত যে কর জমা পড়েছে ইনকাম ট্যাক্স ডিপার্টমেন্টের ভাঁড়ারে, তার নিরিখে একটি তালিকা প্রস্তুত করেছে ওই দপ্তর। সেখানে এ রাজ্য থেকে আছেন মাত্র চারজন। অবশ্য তাঁদের কেউই বাঙালি নন। রাজ্যে গত বছরের সেরা করদাতা মনোজ খেমকার স্থান সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে ১৮ নম্বরে। এরপর ৫৮ নম্বর স্থানে আছেন বিবেক আগরওয়াল। তৃতীয় ব্যক্তিও একজন শিল্পপতি, যিনি রাজ্যের অন্যতম বিদ্যুৎ সংস্থার কর্ণধার। তাঁর সর্বভারতীয় র্যা ঙ্কিং ৯১। ৯৯ তম স্থানে আছেন কুমারমঙ্গলম বিড়লা। আয়কর কর্তারা জানিয়েছেন, শেষ তিন মাসে কর দেওয়ার অঙ্কের কারণেই বড় ফারাক থেকে গিয়েছে সারা বছরের সেরার তালিকা এবং শেষ তিন মাসের সেরার তালিকায়।
এ রাজ্য থেকে যে কর্পোরেট সংস্থাগুলি আয়কর দেয়, গত বেশ কয়েক বছর ধরে সেই তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে আইটিসি লিমিটেড। এবারও তারা যে অঙ্কের কর জমা করেছে, তা তাক লাগানো, বলছেন দপ্তরের কর্তারা। গোটা রাজ্যে বিভিন্ন শিল্পসংস্থা থেকে যে কর আদায় হয়েছে, তার ২০ শতাংশই দখলে রেখেছে আইটিসি। কর্তাদের বক্তব্য, ওই একটি সংস্থা থেকেই কর আদায়ের লক্ষ্যমাত্রার অনেকটাই পূরণ হয়ে যায়। আবার শিল্পক্ষেত্রের মতো আদায় ব্যক্তিগত আয়করে মিলবে, এমন আশাও করেন না কেউই। কিন্তু কোন কোন ব্যক্তি কত টাকা কর দিয়ে সেরার তালিকায় উঠলেন, তাতে আগ্রহ থাকে সকলেরই। সেখানে বাঙালির সংখ্যা এতটা কম হওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বলছেন তাঁরা।