বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
আগে প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে বহু অভাব-অভিযোগ উঠেছিল। ফল প্রকাশ নিয়েও পড়ুয়াদের মধ্যে অসন্তোষ ছিল। কিন্তু এবার পরীক্ষার খাতা মূল্যায়নে স্বচ্ছতা আনতে চাইছে কর্তৃপক্ষ। তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী, পরীক্ষা হয়ে যাওয়ার পর সেই খাতা আর হাতে দেখতে হবে না। খাতা সংগ্রহ করার পর তা স্ক্যান করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয় একটি সার্ভার তৈরি করবে। সেখানে স্ক্যান করা খাতাগুলি আপলোড করে দেওয়া হবে। শিক্ষক সেখানেই খাতা মূল্যায়ন করবেন। পড়ুয়ার প্রাপ্ত নম্বরও সার্ভারেই আপলোড করে দিতে হবে।
সেমেস্টার পিছু বিশ্ববিদ্যালয়কে ছয় থেকে সাত লক্ষ করে খাতা মূল্যায়ন করতে হয়। সেই প্রক্রিয়া আধুনিকীকরণ করতে বিশেষ পদক্ষেপ নিচ্ছে কর্তৃপক্ষ। তাই কম্পিউটারে খাতা দেখার জন্য কিছু নিয়মও ঠিক করে দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, কম্পিউটারের স্ক্রিনের একদিকে থাকবে প্রশ্ন, আরেক দিকে উত্তর। ফলে প্রশ্ন আর হাতে নিয়ে রাখতে হবে না পরীক্ষকদের। প্রতি পাতার জন্য অন্তত চার মিনিট সময় দিতেই হবে তাঁদের। কেউ যদি তার আগেই পরের পাতায় যেতে চান, তাহলে তা করা যাবে না। চার মিনিট হয়ে গেলে তারপরই পরের পাতায় যাওয়ার অপশন দেওয়া হবে। শুধু তাই নয়, পরপর পাতা দেখতে হবে। অর্থাৎ, কেউ চাইলেই প্রথম পাতার পর তৃতীয় পাতায় যেতে পারবেন না। গোটা উত্তরপত্র মূল্যায়ন প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর যদি কারও মনে হয়, খাতাটি পুনর্মূল্যায়ন করতে হবে, তাহলে অবশ্য এমন করা যাবে। কিন্তু মূল্যায়নের মাঝে কেউ আগের পাতায় ফিরে যেতে পারবেন না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তাদের কথায়, পরীক্ষার খাতা দেখার ক্ষেত্রে বহু শিক্ষকই দায়সারাভাবে কাজ করতেন। কোনওমতে খাতা দেখে নম্বর জমা করে দিতেন। এতে বেশ কিছু ক্ষেত্রে ভালো পড়ুয়া কম নম্বর পেয়েছেন, আবার উল্টোটাও হয়েছে। শিক্ষকদের সেই অভ্যাস রুখতেই এই বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এই নয়া পদ্ধতিতে সময় কিছুটা বাঁচবে বলেই মনে করা হচ্ছে। তারচেয়েও বড় কথা, স্বচ্ছতা বজায় থাকবে। আগামী দিনে মূল্যায়নের সময় কমানোর ব্যাপারেও উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে চিন্তাভাবনা রয়েছে কর্তৃপক্ষের। যে উত্তরপত্রগুলি স্ক্যান করে আপলোড করা হবে, সেগুলি নষ্ট করে দেওয়া হবে। ফল প্রকাশের পর কেউ রিভিউ কিংবা আরটিআই করে তা দেখতে চাইলে, তখন সেই স্ক্যান করা প্রতিলিপি দেখানো হবে পরীক্ষার্থীদের।