পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
মুখে সংগঠনিক নির্বাচন বলে প্রচার করা হলেও, এখানে পুরোপুরি ঐক্যমতের ভিত্তিতে নেতা মনোনয়ন হতে যাচ্ছে। রাজ্য বিজেপির ইতিহাসে একবার মাত্র ভোট হয়েছিল। বাকি প্রত্যেকবারই মনোনীত নেতারাই সুযোগ পেয়েছেন। কিন্তু এবার পরিস্থিতি ভিন্ন। রাজ্যে গেরুয়া ঝড় ওঠার পর প্রায় সব রাজনৈতিক দলে থেকে বিজেপিতে কর্মী-নেতাদের আসার ঢল শুরু হয়েছে। যার মাধ্যমে বেনোজল ঢোকারও প্রবল সম্ভাবনা দেখছে রাজনৈতিক মহল। জার্সি বদলে পদ্ম শিবিরে ঢোকা সেই অংশটিও আসন্ন সাংগঠনিক নির্বাচনে নেতা হওয়ার স্বপ্ন দেখছে। যদিও নেতা হওয়ার যোগ্যতামান দলের সংবিধানে এমনভাবে রাখা হয়েছে, যে কেউ দু’দিন আগে এসেই নেতা বনে যেতে পারবেন না। এক্ষেত্রে ন্যূনতম এক বছর দলের একনিষ্ট কর্মী হিসেবে কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকলে তবেই কোনও ব্যক্তি বিজেপির বুথ সভাপতি হতে পারবেন। অন্যদিকে, ন্যূনতম ৩ বছর পার্টির সক্রিয় সদস্য রয়েছেন, এমন ব্যক্তিরাই মণ্ডল বা জেলা সভাপতি হতে পারবেন।
বিজেপির সদস্য সংগ্রহ পর্ব বর্তমানে চলছে। সক্রিয় সদস্য হওয়ার দু’টি সুনির্দিষ্ট শর্ত রয়েছে বিজেপির। এক, ওই ব্যক্তিকে ন্যূনতম ১০০ জন প্রাথমিক সদস্য করাতে হবে। দুই, ওই ব্যক্তিকে ন্যূনতম সাত দিন বিস্তারক হিসেবে সংগঠন বিস্তারে কাজ করতে হবে। প্রস্তাবিত সক্রিয় সদস্য হওয়ার জন্য বুথ, মণ্ডল, জেলা, প্রদেশ থেকে সুনির্দিষ্ট নামের তালিকা পাঠানো হয়। সমস্ত স্তরে তা খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য বিভিন্ন স্তরে কমিটি রয়েছে। রাজ্যস্তরের জন্যও রয়েছে পৃথক কমিটি। স্বভাবতই প্রশ্ন উঠবে, যাঁরা মাত্র কয়েকদিন আগে বিজেপিতে এসেছেন, কিন্তু নেতৃত্ব দেওয়ার যোগ্যতা রয়েছে, তাঁদের ক্ষেত্রে কী হবে? এই ক্ষেত্রে রাজ্য সভাপতির বিশেষ ক্ষমতা রয়েছে কোনও ব্যক্তিকে দলের সক্রিয় সদস্যপদ দেওয়া। গোটা বিষয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, সাংগঠনিক নির্বাচন নিয়ে সর্বস্তরের নেতাদের প্রশিক্ষণ দিতেই এই বৈঠক। তাঁর দাবি, আমাদের সংগঠনে একমাত্র তপন শিকদার সভাপতি থাকাকালীন ভোট হয়েছিল। তাছাড়া সহমতের ভিত্তিতেই নেতা বাছাই করা হয়। এবারও তাই হবে।