পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
পাইকারি বাজার কোলে মার্কেটের আধিকারিক এবং রাজ্য সরকারের নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর টাস্ক ফোর্সের সদস্য কমল দে জানিয়েছেন, পেঁয়াজের অবস্থা খুবই উদ্বেগজনক। পশ্চিমবঙ্গে উৎপাদিত পেঁয়াজ প্রায় শেষ। এখন ভিন রাজ্যই ভরসা। কিন্তু সেখান থেকে সরবরাহ প্রায় অর্ধেক হয়ে গিয়েছে। তাই দামও চড়ছে।
দিনসাতেক আগেও কলকাতার পাইকারি বাজারে ৪০ কেজি পেঁয়াজের বস্তার দাম গুণগত মান অনুযায়ী ৬০০ থেকে ৮০০ টাকার মধ্যে ছিল। ওই দাম এখনই বেড়ে ১২০০ থেকে ১৪০০ টাকা হয়েছে। সাধারণ মানের পেঁয়াজের দাম শুক্রবার পাইকারি বাজারে কেজি প্রতি ছিল ৩০ টাকা। স্বাভাবিকভাবে খুচরো বাজারে দাম আরও বেশি হচ্ছে।
ব্যবসায়ীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যে পেঁয়াজের মাসিক চাহিদা ৫০ থেকে ৬০ হাজার টন। এই চাহিদার ৭০ শতাংশের জোগান আসছিল মহারাষ্ট্র থেকে। বাকিটা দক্ষিণ ভারত, মূলত অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে। এখন মহারাষ্ট্র থেকে চাহিদার মাত্র ১০ শতাংশ পেঁয়াজ আসছে। এতে যা ঘাটতি হচ্ছে, তা অন্ধ্রের পেঁয়াজ মেটাতে পারছে না। সেখান থেকে সরবরাহ সামান্য বেড়েছে। আরও চিন্তার ব্যাপার হল, মহারাষ্ট্রে নতুন পেঁয়াজ উঠতে অনেক দেরি হচ্ছে। অক্টোবর-নভেম্বর মাস নাগাদ নতুন পেঁয়াজ মাঠ থেকে ওঠে। ফলে এখন মাঝের দু’-তিন মাস বড় সমস্যার আশঙ্কা আছে। এটা শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, গোটা দেশেই হবে। ব্যবসায়ী মহল বলছে, পেঁয়াজ এখন জনগণের পাশাপাশি সরকারকেও ‘কাঁদাবে’। অতীতে পেঁয়াজের ব্যাপক মূল্যবৃদ্ধির জেরে বিধানসভা ভোটে ক্ষমাতসীন দলের ভরাডুবির নজির দেশে আছে।
এ রাজ্যে পেঁয়াজ উৎপাদন এখন অনেকটাই বেড়েছে। এই বছর চার লক্ষ টনের বেশি উৎপাদন হয়েছে। রাজ্যে উৎপাদিত পেঁয়াজ ফেব্রুয়ারি মাস নাগাদ বাজারে আসে। জুলাই মাস পর্যন্ত বাজারে রাজ্যের পেঁয়াজের মোটামুটি জোগান ছিল। এখন অল্প কিছু বড় চাষির কাছে কিছু পেঁয়াজ রয়েছে। এই সুযোগে ওই চাষিরা বেশি দাম পেয়ে যাচ্ছেন। রাজ্যে পেঁয়াজ সংরক্ষণের ভালো পরিকাঠামো থাকলেও আরও বেশিদিন চাহিদা মেটানো সম্ভব হতো বলে কমলবাবু জানিয়েছেন।
পেঁয়াজের পাশাপাশি আদার দামও বেশ চড়া। খুচরো বাজারে তিনশো টাকা কেজি দরে আদা বিক্রি হচ্ছে। তবে উত্তর–পূর্ব ভারত থেকে আদার জোগান বাড়ছে। এবার আদার দাম কিছুটা কমবে বলে আশা করছেন ব্যবসায়ীরা।