রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
এদিন ফরওয়ার্ড ব্লকের রাজ্য সম্পাদক নরেন চট্টোপাধ্যায় বলেন, ১৯৪৫ সালের ১৮ আগস্ট তাইহোকু বিমান দুর্ঘটনায় নেতাজির মৃত্যু হয়েছে বলে কেন্দ্রীয় সরকার সম্প্রতি প্রচার করে প্রথম বিতর্ক উস্কে দিয়েছে। এরই পাশাপাশি সৃজিতবাবুদের ‘গুমনামি’ ছবিটি সেই বিতর্কে ঘি ঢেলেছে। আমরা দু’টি বিষয়েই প্রতিবাদ জানাতে রাস্তায় নেমেছি। কেন্দ্র ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় নেতাজির তথাকথিত মৃত্যুদিন সংক্রান্ত তথ্য প্রত্যাহার করে নিয়েছে। পাশাপাশি সিনেমা পরিচালক সৃজিতবাবু আমায় ফোন করে জানিয়েছেন যে মুখার্জি কমিশনের সাক্ষ্য এবং রিপোর্টের ভিত্তিতেই তিনি ছবিটি তৈরি করেছেন। ছবিতে নিশ্চিত করে গুমনামিবাবাই যে নেতাজি ছিলেন, তা তিনি বলতে চাননি। এ বিষয়ে তিনি অভিনেতা প্রসেনজিৎকে সঙ্গে নিয়ে মহাজাতি সদন বা অন্য কোনও প্রেক্ষাগৃহে আমাদের মুখোমুখি হয়ে তাঁর ছবির বিষয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন। তবে আমরা ওঁর দাবির যথার্থতা যাচাই করার জন্য ছবিটি নন্দন-২-এর মতো কোনও ছোট হলে আমাদের দেখানোর ব্যবস্থা করতে বলেছি। এর আগে শ্যাম বেনেগাল নেতাজিকে নিয়ে তাঁর বিখ্যাত ‘বোস— দ্য ফরগটন স্টোরি’ ছবির সময়ও বিতর্ক এড়াতে আমাদের আগাম তা দেখিয়েছিলেন কোনও আপত্তির বিষয় রয়েছে কি না তা উল্লেখ করতে। সৃজিত অবশ্য এ ব্যাপারে প্রযোজকের সঙ্গে কথা বলে আমাদের জানাবেন বলেছেন।
এদিকে, নরেনবাবুর দলের সাধারণ সম্পাদক দেবব্রতবাবু দিল্লিতে গিয়ে এদিন প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে মোদির উদ্দেশে লেখা চিঠিটি জমা দিয়েছেন। চিঠির মাধ্যমে তিনি চলতি বিতর্কের অবসানে মুখার্জি কমিশনের রিপোর্ট মোতাবেক কেন্দ্রকে পদক্ষেপ করার দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, পূর্বতন কংগ্রেস সরকার যখন মুখার্জি কমিশনের রিপোর্ট সংসদে খারিজ করেছিল, তখন বিজেপি সাংসদরা অন্যান্য বাম দলগুলির সঙ্গে গলা মিলিয়ে তা গ্রহণ করার দাবি জানিয়েছিলেন। এর রেকর্ড সংসদেই রয়েছে। তাই ক্ষমতায় আসার পর এখন কেন মোদি সরকার সে ব্যাপারে টালবাহানা করছে, তা রীতিমতো আশ্চর্যের। তাই ধোঁয়াশা কাটাতে অবিলম্বে এই কমিশনের রিপোর্ট গ্রহণ করার কথা ঘোষণা করুক সরকার। একই সঙ্গে নেতাজির মৃত্যুদিন সংক্রান্ত যে তথ্য প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো সম্প্রতি প্রচার করেছিল, সে ব্যাপারে উপযুক্ত তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণেরও দাবি মোদির কাছে জানিয়েছেন তিনি।