দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় ও ব্যবসা থেকে অর্থাগম যোগ। প্রেমের প্রস্তাব পেতে পারেন। পুজো পাঠে মন। ... বিশদ
গত সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত রাজ্যে যে ট্রাক ধর্মঘট হয়েছে, তার অন্যতম ইস্যু ছিল পুলিসি জুলুম বন্ধ করা। তার আগে গত ২ জুলাই ওই একই ইস্যুতে এআইটিইউসি অনুমোদিত ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্যাক্সি অপারেটর্স কো-অর্ডিনেশন কমিটির ডাকে ২৪ ঘণ্টার ট্যাক্সি ধর্মঘটও হয়। এছাড়াও, হামেশাই পুলিসি জুলুম নিয়ে প্রকাশ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বাস, ট্যাক্সির মালিকরা। দীঘার প্রশাসনিক বৈঠক থেকে গত বুধবার মুখ্যমন্ত্রী নিজেই বিষয়টি নিয়ে কড়া সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফের নামে পুলিসের তোলাবাজি চলছে। সিভিক ভলান্টিয়ার দিয়ে তোলা হচ্ছে টাকা। এই কথা শুনে বেজায় উৎসাহিত বেসরকারি পরিবহণের মালিকরা।
জয়েন্ট কাউন্সিল অব বাস সিন্ডিকেটের সাধারণ সম্পাদক তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমরা এই অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরেই তুলছিলাম। বিষয়টি সরকারকে জানানোও হয়। মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে এ’নিয়ে নিজেই সরব হয়েছেন, তাতে আমরা উৎসাহিত। এবার হয়তো পুলিসি জুলুমের একটা বিহিত হতে পারে। ইন্টার অ্যান্ড ইন্ট্রা রিজিয়ন বাস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক পল্লব মজুমদার বলেন, বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রী উপলব্ধি করেছেন, তাই বলেছেন। আমরা তাঁকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। এ নিয়ে পদক্ষেপ করা হলে আমরা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞ থাকব।
‘ফেডারেশন অব ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রাক অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েশন’-এর সাধারণ সম্পাদক সুভাষচন্দ্র বোস বলেন, মুখ্যমন্ত্রী বলার পর বৃহস্পতিবার সারাদিন কোথাও পুলিসি জুলুমের খবর পাইনি। মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ। তবে আমাদের দাবি, প্রশাসনের সর্বোচ্চ স্তর থেকে এই বিষয়টির উপরে নজরদারি চালাতে হবে। তা না হলে কিছুদিন পর থেকে ফের আগের পরিস্থিতি ফিরে আসবে। তাঁর অভিযোগ, গত ২০ আগস্ট বিষ্ণুপুর এলাকায় আমাদের সংগঠনের সাত-আটজন সদস্যকে পুলিস মারধর করেছে। এমনটা কেন হবে? প্রশাসনকে বিষয়টি দেখতে হবে।
ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্যাক্সি অপারেটর্স কো-অর্ডিনেশন কমিটির আহ্বায়ক নওলকিশোর শ্রীবাস্তব বলেন, আমরা সরকারকে একাধিকবার এই ইস্যুতে চিঠি দিয়েছি। আমরা যে ভুল অভিযোগ তুলিনি, তা মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য থেকেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। পরিস্থিতির বদল না হলে ফের আন্দোলন হবে। বিষয়টি নিয়ে আগামী রবিবার একটি কনভেনশন ডাকা হয়েছে। সেখানে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
তবে, বেসরকারি পরিবহণ সংগঠনগুলির সদস্যরা অনেকেই বলছেন, পুলিসি জুলুম বন্ধ করতে হলে সরকারের নিয়মিত নজরদারি দরকার। মুখ্যমন্ত্রী সেই কাজটি শুরু করেছেন। কিন্তু, বিষয়টি সেখানেই আটকে থাকলে আদতে কোনও পরিবর্তন হবে না বলেই তাঁদের দাবি। তাঁদের বক্তব্য, দরকারে পরিবহণের মালিকদের সঙ্গে প্রশাসনের নিয়মিত সমন্বয় বৈঠকের ব্যবস্থা করা হোক। তাতে ইস্যুগুলি মীমাংসা করা, অভিযোগ তোলার মঞ্চ পাওয়া যাবে।