দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় ও ব্যবসা থেকে অর্থাগম যোগ। প্রেমের প্রস্তাব পেতে পারেন। পুজো পাঠে মন। ... বিশদ
অনুষ্ঠানে শিক্ষকদের নিয়ে আসার ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পেয়েছে শাসক দলেরই সংগঠনগুলি। বৃহস্পতিবার ‘দিদিকে বলো’ নিয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠক করে পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি। এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অজিত নায়েক সহ অন্যান্য নেতাও উপস্থিত ছিলেন। সাংবাদিক বৈঠকের পর এ নিয়ে সংগঠনের সভাপতি দিব্যেন্দু মুখোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করা হয়। তিনি বলেন, এবার অনুষ্ঠান নজরুল মঞ্চে নয়, নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে হচ্ছে। অন্যান্যবার ছাত্রছাত্রীদের উপস্থিতি বেশি থাকে। কিন্তু এবার মুখ্যমন্ত্রী চেয়েছেন, শিক্ষক দিবসে শিক্ষকদেরই বেশি গুরুত্ব দেওয়া হোক। সেই অনুযায়ীই আমরা এগচ্ছি। প্রাথমিক স্কুল থেকে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ১০ হাজার শিক্ষক উপস্থিত থাকবেন। তবে, সেরা বিদ্যালয় এবং শিক্ষারত্ন পুরস্কার দেওয়ার বিষয়টি অবশ্য আগের মতোই হবে। সেই নামগুলি এখনও শিক্ষামন্ত্রীর ছাড়পত্র পায়নি বলেই খবর।
অবশ্য জনসংযোগের অংশ হিসেবে মানতে রাজি নন দিব্যেন্দুবাবু। তিনি বলেন, শিক্ষক দিবসে শিক্ষকদের গুরুত্ব দেওয়ার মধ্যে জনসংযোগের তত্ত্ব খোঁজার মানে হয় না। এমনিতেই শিক্ষকরা সরকারের সঙ্গেই রয়েছেন। ‘দিদিকে বলো’র প্রচার আমরা জেলায় জেলায় ছড়িয়ে দিতে চলেছি এবার। দিব্যেন্দুবাবু যাই বলুন, বিগত কয়েক মাসে দীর্ঘদিন ধরে বকেয়া থাকা শিক্ষকদের বিভিন্ন দাবিদাওয়া সরকার হয় মেনে নিয়েছে বা মেনে নেওয়ার ব্যাপারে আশ্বাস দিয়েছে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, বিধানসভা নির্বাচন এক্ষেত্রে বড় ফ্যাক্টর হয়ে কাজ করছে। তবে তার মধ্যেই শিক্ষকদের আন্দোলনে পুলিসের অতিসক্রিয়তা এবং আক্রমণ সাধারণ মানুষকে পর্যন্ত খেপিয়ে তুলছে। এ ব্যাপারে দিব্যেন্দুবাবুর মন্তব্য, শিক্ষকতা সাধারণ চাকরি নয়। এটা সেবার মনোভাব নিয়ে দেখা উচিত। শিক্ষকদের প্রধান কাজ হল ছাত্রদের পড়ানো। তারপর দাবিদাওয়া পেশের বিষয়টা আসে। কিন্তু স্কুল ছেড়ে যেভাবে শিক্ষকরা দিনের পর দিন কোনও একটা ইস্যুতে রাস্তায় নেমে পড়ছেন, তা মেনে নেওয়া যায় না। এই সরকার এসে শিক্ষকদের মাস পয়লা বেতন দিয়েছে, বদলির ব্যবস্থা করেছে, বিভিন্ন ধরনের শিক্ষকদের বেতন বাড়িয়েছে। যেমন, সরকার পার্শ্বশিক্ষকদের বেতন বাড়ানো সত্ত্বেও তাঁদের একাংশ পথে নেমে আন্দোলন করেছেন। এর পিছনে রাজনৈতিক অভিসন্ধি রয়েছে বলেই তাঁর বিশ্বাস।