গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
রিপোর্টে চাকরির বাজারের মন্দা থেকে ক্লাসের পড়া পড়ুয়াদের কাছে কী করে আকর্ষণীয় করে তোলা যায়, সেসবই তুলে ধরা হয়েছে। চাকরির বাজার পড়ুয়াদের হাতের কাছে নিয়ে আসতে প্লেসমেন্ট পোর্টাল চালু করা হয়েছে। যেখানে বিভিন্ন সংস্থার নাম নথিভুক্ত রয়েছে। আবার ফ্লিপড ক্লাসরুমের মাধ্যমে পড়াশোনা আরও বেশি আকর্ষণীয় যেমন করা হয়েছে, তেমনই শিক্ষক-পড়ুয়াদের মধ্যে তথ্যের আদান-প্রদানের ব্যবস্থাও চালু করা হয়েছে। ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে যেসব বিষয় রয়েছে, যেমন সিভিল, মেকানিক্যাল ইত্যাদি বিষয়ে চাকরির চাহিদা কিছুটা কম। এই বিষয়গুলিকে বিভিন্ন কোম্পানির কাছে তুলে ধরতে তাই প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সিলেবাস সম্প্রসারণ করেছে। আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়েই তৈরি করা হয়েছে পাঠ্যক্রম।
চাকরির বাজারে পড়ুয়াদের মান নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন রয়েছে। কোম্পানিগুলি যা চায়, অনেক ক্ষেত্রে তারা তা পায় না। তাই কোম্পানিরগুলির চাহিদা মতো অনলাইন কোর্সের মাধ্যমে পড়ুয়াদের তৈরি করার উদ্যোগ নিয়েছে এই প্রতিষ্ঠান। ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজগুলি নিয়ে রিভিউ বৈঠকে জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা এগিয়ে আনার দাবি উঠেছিল। শিক্ষামন্ত্রীও সেই পরিকল্পনার কথা ভেবে দেখার জন্য বোর্ডকে অনুরোধ করেছিলেন। সেই দাবি এবার জানিয়েছে প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ও। নির্ধারিত সময়ের কিছু আগে এই পরীক্ষা নিয়ে ফল প্রকাশ করা হলে রাজ্যের পড়ুয়াদের ধরে রাখা যেতে পারে।
তবে চার বছরের আগে কেউ পড়াশোনা ছেড়ে দিলে, তার জন্য যে পরিকল্পনার কথা বলা হয়েছে, তা এক প্রকার নজিরবিহীন বলেই মনে করা হচ্ছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, এক থেকে তিন বছরের মধ্যে কেউ বিটেক কোর্স ছেড়ে দিলে তাঁকে সার্টিফিকেট, ডিপ্লোমা এবং অ্যাডভান্সড ডিপ্লোমা ডিগ্রি দিয়ে স্বীকৃতি দেওয়া হবে। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এমনিতেই নিয়ম অনুযায়ী, রেজিস্ট্রেশনের পর থেকে ন’ বছরের মধ্যে এই চার বছরের কোর্স শেষ করতে হয়। উপাচার্য সৈকত মৈত্র বলেন, কেউ যদি এক কিংবা দু’বছর পর চাকরি পেয়ে যান বা নিজে ব্যবসা (স্টার্ট আপ) শুরু করেন, তিনি মাঝপথে পড়া ছেড়ে দিতে পারবেন। আবার পরে ওই কোর্স পূরণ করতে পারবেন। ইউজিসি এমনটা করতে চাইছে, তাই এআইসিটিই’কেও এই পদ্ধতি চালু করার আর্জি জানানো হবে।