গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
তবে, নেতৃত্ব সরকারের আশ্বাস ও বাজারে প্রভাব পড়ার আশঙ্কার কথা শোনালেও, বুধবার সকাল থেকেই ট্রাক ধর্মঘটে শামিল না হয়ে বিভিন্ন রাস্তায় ট্রাক চলতে দেখা গিয়েছে। পোস্তা সহ একাধিক বাজারে যেখানে সোম ও মঙ্গলবার ‘লোডিং-আনলোডিং’ কার্যত বন্ধ ছিল, সেখানে এদিন সকাল থেকেই ফের আগের মতো ব্যস্ততা শুরু হয়ে যায়। এদিন দুপুরে পোস্তা বাজারে গিয়ে দেখা যায়, রাস্তার দু’ধারে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে মাল বোঝাইয়ের কাজ জোরকদমে চলছে। বাজারে ঠেলাগাড়িতে মাল বহনকারী থেকে শুরু করে ব্যবসায়ী সমিতির নেতারা সেই সময়েই জানিয়ে দিয়েছিলেন, বাজারে স্বাভাবিক কাজকর্ম শুরু হয়ে গিয়েছে। এদিন বিকেলে বৈঠক শেষে আন্দোলনকারীরাও জানিয়ে দেন, আপাতত ট্রাক ধর্মঘট স্থগিত রাখা হচ্ছে।
ফেডারেশন অব ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রাক অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সুভাষচন্দ্র বোস বলেন, আমাদের দাবির প্রায় ৮০ শতাংশই সরকার মেনে নিয়েছে। ধর্মঘটের জেরে বিভিন্ন জায়গায় ট্রাক দাঁড়িয়ে গিয়েছিল। বহু ট্রাকে পচনশীল জিনিসপত্রও ছিল। ধর্মঘটের জের বাজারে পড়তে শুরু করেছিল। সার্বিক এই প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন জেলার নেতাদের সঙ্গে সহমতের ভিত্তিতে ধর্মঘট স্থগিত ঘোষণা করা হয়। গোটা বিষয়টি উল্লেখ করে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠিও দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক প্রবীর চট্টোপাধ্যায় বলেন, আমরা ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করব। তার মধ্যে সরকার দাবি না মেটালে ৯ সেপ্টেম্বর থেকেই আরও জোরদার আন্দোলন হবে।