বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
আন্দোলনকারীদের প্রধান দাবি ছিল, আংশিক সময়ের এবং চুক্তিভিত্তিক প্রথা তুলে দিয়ে তাঁদের স্থায়ী শিক্ষকের মর্যাদা দিতে হবে। শিক্ষক এবং প্রশিক্ষক, দু’টি পদ তৈরি করে অভিজ্ঞতা এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা অনুযায়ী বেতন কাঠামো নির্দিষ্ট করতে হবে। এছাড়াও প্রভিডেন্ট ফান্ড, ছুটি ও অবসরকালীন সুযোগসুবিধা প্রদান সহ মোট সাত দফা দাবি ছিল। সাম্প্রতিক কালে শিক্ষাদপ্তরের অধীন বিভিন্ন শিক্ষকদের আর্থিক সুযোগ, সুবিধা অনেকটাই বাড়িয়ে দিয়েছে সরকার। এই শিক্ষকরা কারিগরি শিক্ষা দপ্তরের অধীন। আর্থিক নিরাপত্তা এবং বৃত্তিমূলক কোর্সগুলির উন্নতি সাধন করার দাবিতে বহুদিন ধরেই আন্দোলন চলছে। এর আগে কলেজ স্কোয়ারেও বহুদিন ধরে আন্দোলনে বসেছিলেন এঁরা। কিন্তু সরকার তাঁদের সেবার বুঝিয়ে তুলে দেয়। এবার তাঁরা মরিয়া হয়ে উঠেছেন।
এদিন শিক্ষকদের জমায়েতের ফলে এস এন ব্যানার্জি রোডে যানজট হয়। পুলিস তখন থেকেই যান চলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্টা চালাতে থাকে। তাতে লাভ কিছু হয়নি। তারপর পুলিস লাঠি চালাতে শুরু করলে একটা সময় শিক্ষকদের একটা বড় অংশ কলকাতা পুরসভার ভিতরে গিয়ে আশ্রয় নেয়। এতে পুরসভার মধ্যেও আলোড়ন পড়ে যায়। আন্দোলনকারীদের অন্যতম শীর্ষনেতা দেলওয়ার হোসেন সহ মোট ৩৯ জন শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে লালবাজার সূত্রে খবর। তাঁদের মধ্যে একজন মহিলাও রয়েছেন। ঘটনার কিছু পরে, বিকেলের দিকে গান্ধীমূর্তির পাদদেশে চলা আইএনটিটিইউসির অবস্থান বিক্ষোভ মঞ্চে হাজির ছিলেন কারিগরি শিক্ষামন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু। সেখানে শ্রমিকদের সঙ্কটে ফেলে সরকারি সংস্থাগুলিকে রুগ্ন করে দেওয়ার অভিযোগে বিজেপি সরকারের দিকে তোপ দাগেন পূর্ণেন্দুবাবু। বৃত্তিমূলক শিক্ষকদের আন্দোলন নিয়ে পূর্ণেন্দুবাবুর প্রতিক্রিয়া চাওয়ার জন্য পরে ফোন করা হয়। তা নিয়ে অবশ্য তিনি কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
এদিকে, কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের আংশিক সময়ের এবং চুক্তিভিত্তিক পূর্ণ সময়ের শিক্ষকদের স্থায়ীকরণের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখালেন কয়েকজন গবেষক এবং চাকরিপ্রার্থী। সোমবার ওই শিক্ষকদের স্থায়ীকরণের ঘোষণা করেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে কলেজ সার্ভিস কমিশনের জনা ত্রিশেক চাকরিপ্রার্থী বিক্ষোভ দেখান। তাঁদের দাবি, সরকার এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করুক। নাহলে কলেজ সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে নিয়োগের সম্ভাবনা আরও সঙ্কীর্ণ হবে। নিয়োগ অনিয়মিত হয়ে যাবে।