পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
মঙ্গলবার বিকেলে সৈকতনগরী দীঘায় নবনির্মিত আন্তর্জাতিক মানের কনভেনশন সেন্টারের উদ্বোধনী মঞ্চ থেকে শুধু এই বার্তা দিয়েই ক্ষান্ত থাকেননি মমতা। বলেছেন, আসুন প্রতিযোগিতা করি। সেই প্রতিযোগিতা সন্ত্রাসের নয়, ভেদাভেদের নয়, দাঙ্গা লাগানোর নয়, দলাদলির নয়। প্রতিযোগিতা হোক কাজের, নির্মাণের আর শান্তি প্রতিষ্ঠার। সবাই এগিয়ে যাই। সাধারণের উন্নয়নের লক্ষ্যে এহেন প্রতিযোগিতা ছেড়ে দাঙ্গা আর গোলমালের পথে গেলে পরিণতি কী হয়, নাম না করে প্রধানমন্ত্রীকে তা নিয়ে সতর্কও করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, এসব করলে সেন্ট্রালে আপনি, আমি রাজ্যে, সবারই মুখ পুড়বে। রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, লোকসভা নির্বাচন পর্বের চরম রাজনৈতিক সঙ্ঘাত এড়িয়ে উন্নয়নই যে এখন তাঁর পাখির চোখ, গেরুয়া শিবিরের শীর্ষস্তরকে সেই বার্তাই দিতে চেয়েছেন প্রত্যয়ী মমতা। হানাহানি বন্ধ করুক বিজেপিও, সেই আহ্বানও রয়েছে রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের কথায়। একইসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় কেন্দ্র-রাজ্য সম্পর্কের বিষয়টিও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন সবপক্ষকে।
সাধারণের জন্য উন্নয়নই হোক কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে প্রতিযোগিতার মাধ্যম— এদিন এই বার্তার সঙ্গে দেশের এক অন্যতম রাজনৈতিক দল হিসেবে বর্তমান আবর্তে তাদের অবস্থান কী হবে, সে ব্যাখ্যাও দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। মমতা বলেছেন, আমার দলকে বলেছি, পজিটিভ কাজে সাপোর্ট দিতে হবে। আর ধ্বংসাত্মক কাজের বিরোধিতা। মমতার কথায়, তৃণমূল জনগণের দ্বারা, জনগণের জন্য, জনগণের দল। মানুষের জন্য রাজনীতি করি। সমাজটা ভালো রখতে হবে, সাফ রাখতে হবে। এই তো ভোরে হাঁটতে বেরিয়েছিলাম। রাস্তায় প্লাস্টিক ছিল ছড়িয়ে-ছিটিয়ে। কুড়িয়ে ডাস্টবিনে রাখলাম। মানুষের ভালোর জন্য সব করা যায়। মুখ্যমন্ত্রীর আহ্বান, ধ্বংসাত্মক নয়, আসুন সবাই মিলে গঠনমূলক ভূমিকা পালন করি।
গঠনমূলক কাজে প্রতিযোগিতার আহ্বান যেমন করেছেন, তেমনই আবার প্রস্তাবিত তাজপুর বন্দর নিয়ে কেন্দ্রের ভূমিকার সমালোচনাও করেছেন মমতা। তবে চড়া সুরে ঝাঁঝালো ভাষার সেই ইউএসপি ছেড়ে মুখ্যমন্ত্রী যে ভাষায় বলেছেন, তা ছিল অনেক পরিশীলিত। বলেন, তাজপুর বন্দরে রাজ্য ও কেন্দ্রের শেয়ার ছিল যথাক্রমে ২৬ আর ৭৪। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গাদকারি বলেছিলেন, তাঁরা করবেন। আমাদের শেয়ার ছেড়ে দিতে রাজি হলাম। বিনিময়ে সাগরদ্বীপে লোহার সেতুটা চেয়েছিলাম। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কোনও কারণে হয়ত গাদকারিজি পারেননি। প্রত্যয়ী মমতার ঘোষণা, পাঁচ বছর অপেক্ষা করেছি, আর না। তাজপুর বন্দর এবার রাজ্য নিজেই গড়বে।