পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
সিটুর রাজ্য সভাপতি সুভাষ মুখোপাধ্যায় ও সম্পাদক অনাদি সাহু এদিন বলেন, কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে নানা ইস্যুতে তাঁরা এই কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত নেন। রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে জমায়েতের জন্য তাঁরা সেনাবাহিনী এবং কলকাতা পুলিসের কাছে অনুমতি চেয়ে দু’মাস আগে চিঠি দেন। বেশ কিছু দিন আগেই সেনাবাহিনী অনুমতি দিয়েছে। কিন্তু এদিন পর্যন্ত লালবাজার থেকে তাদের অনুমতি দেওয়া হয়নি। তবে ফোনে তারা জানিয়েছে, ওই জমায়েতের অনুমতি তারা দেবে না। অথচ অদূরেই গান্ধীমূর্তির পাদদেশে গত কয়েকদিন ধরে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের ধর্না কর্মসূচি চলছে। ২৮ তারিখ সেখানে শাসকদলের ছাত্র সমাবেশে মুখ্যমন্ত্রীর থাকার কথা। তার অনুমতি নিয়ে পুলিস কিন্তু কোনও টালবাহানা করছে না। তবে গত দু’মাস ধরে রাজ্য জুড়ে প্রচার চালানোর পর বৃহস্পতিবারের কর্মসূচির প্রস্তুতি চূড়ান্ত। তাই কোনওভাবেই তা স্থগিত রাখা হবে না। সেক্ষেত্রে প্রশাসন বলপ্রয়োগের রাস্তায় হাঁটলে, তার পরিণামের জন্য তারাই দায়ী থাকবে।
সুভাষ-অনাদি বলেন, গত বছর ২৯ আগস্ট আমরা যে সব দাবিতে শ্রম দপ্তর অভিযান কর্মসূচি পালন করেছিলাম, তার একটি দাবিও এখনও প্রশাসন মানেনি। অথচ শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক সেদিন অনেক কিছু প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। চটকল শ্রমিকদের মজুরি চার বছর পর মাত্র দু’টাকা বাড়িয়েছেন। চটকল মালিকরা পিএফ-গ্র্যাচুইটি বাবদ অন্তত এক হাজার কোটি টাকা গায়েব করে দিয়েছেন। উত্তরবঙ্গের চা শ্রমিকদের দুরবস্থা তো অবর্ণনীয়। কেন্দ্রের শ্রমনীতি এবং মূল্যবৃদ্ধির ঠেলায় অসংগঠিত শিল্পের অন্যান্য শ্রমিকদেরও নাভিশ্বাস উঠছে। অথচ তা নিয়ে রাজ্য সরকারের কোনও হেলদোল নেই।