কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
চলতি বছরে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে প্রায় ৩৪ হাজার আসনের মধ্যে অনলাইন কাউন্সেলিংয়ে ১২ হাজারের মতো আসন ভরেছে। তারপর যে বিকেন্দ্রীকৃত কাউন্সেলিং হয়েছে, তাতে এখনও পর্যন্ত আট-ন’ হাজার আসন পূরণ হয়েছে। তারপরও ১০ হাজারের বেশি আসন খালি। কেন এমন হল, তা নিয়ে বিস্মিত মন্ত্রী। বৈঠকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, এত কিছু করা হচ্ছে, মেলা হচ্ছে, তারপরও আসন খালি থাকছে কেন? সরকারি কলেজগুলি প্রচারে পিছিয়ে রয়েছে। বেসরকারি কলেজগুলি যেভাবে তাদের প্রচার করে, তার ধারেকাছে নেই সরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ। মন্ত্রীর কথায়, বেসরকারি কলেজগুলি দু-তিন পাতাজুড়ে বিজ্ঞাপন দেয়, সেই তুলনায় সরকারি কলেজগুলি ক্ষুদ্র বিজ্ঞাপন দেয়, যা পড়ুয়ারা জানতেই পারেন না।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কেও ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বিকেন্দ্রীকৃত কাউন্সেলিংয়ে যেতে হয়েছে। এতে বেশ অবাক হয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। তাঁর মতে, যাদবপুরে এক সময় একটা আসনের জন্য পড়ুয়ারা হাপিত্যেশ করতেন। এখন তাকেই অফলাইন কাউন্সেলিংয়ে আসন ভরতে হচ্ছে। এটা চিন্তার বিষয়। উল্লেখ্য, এখানে এবার অনলাইন কাউন্সেলিংয়ের পর ২৬১টি আসন খালি ছিল। যা ইদানীংকালে সবচেয়ে বেশি বলে মনে করছেন কর্তারা। তবে এই বিপুল আসন খালির সমস্যা ঠেকাতে এখন থেকেই উদ্যোগী হতে হবে। এ বিষয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজগুলির সংগঠন আপাই যে প্রস্তাব দিয়েছে, তাকে সমর্থন করেন মন্ত্রী।
বর্তমানে উচ্চ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশের পর জয়েন্টের ফল বের হয়। তারপর হয় কাউন্সেলিং। এই প্রক্রিয়া শেষ হতে জুন-জুলাই হয়ে যায়। সেই কারণে বহু ছাত্রছাত্রী অন্যত্র চলে যান। তাই পড়ুয়া ধরে রাখতে এই প্রক্রিয়া এগিয়ে আনার পক্ষেই সওয়াল করেন মন্ত্রী। এপ্রিলের মধ্যে যদি তা শেষ করা যায়, তাহলে এই সমস্যা ঠেকানো যাবে। এই ভর্তি হবে শর্তসাপেক্ষ। অর্থাৎ, উচ্চ মাধ্যমিকে যদি কেউ অকৃতকার্য হন, সেক্ষেত্রে তাঁর ভর্তি বাতিল হয়ে যাবে। শিক্ষামহলের প্রশ্ন, এই নয়া ভাবনা কার্যকর হলে, একজন পড়ুয়া ভিনরাজ্যের কোনও প্রতিষ্ঠানে সুযোগ পেলে চলে যেতে পারেন। সেক্ষেত্রে কী হবে? ফলে এটি বাস্তবায়িত হওয়া নিয়ে সংশয় রয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে।
ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে যে সব বিষয়ের চাহিদা নেই, তার পরিবর্তে অন্য কোনও প্রফেশনাল কোর্স চালু করা যায় কি না, তা নিয়েও ভাবার পরামর্শ দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। প্রয়োজনে দপ্তরের তরফেও এ নিয়ে পরিকল্পনা করা হবে বলে তিনি জানান। এদিনের অনুষ্ঠানে একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের অধ্যক্ষ সহ উচ্চ শিক্ষা দপ্তরের আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন।