কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০৫ সাল থেকে প্রতি বর্গ মিটার ধরে ফায়ার লাইসেন্স ফি নেওয়া হতো। ২০০৭ সালে তা পরিবর্তন করা হয়। বর্গমিটারকে বদলে বর্গফুট করা হয়। প্রতি বর্গফুট ধরে ফায়ার লাইসেন্স ফি নেওয়া হবে বলে ঠিক হয়। তাতে যা ফি ছিল তার থেকে ১০.৬৮ গুণ বেড়ে যায়। এক ধাক্কায় দশগুণের বেশি বেড়ে যাওয়ায় ব্যবসায়ী ও শিল্পমহলে নাড়াচাড়া পড়ে যায়। বণিকসভা ও শিল্পপতিদের প্রতিনিধিরা দমকল দপ্তরকে তাদের আপত্তির কথা জানানও। কিন্তু বিষয়টি তাদের অধীনে নয় বলে দমকল দপ্তর জানিয়ে দেয়। দমকল দপ্তরের পক্ষ থেকে তাঁদের জানিয়ে দেওয়া হয়, ফি পরিকাঠামো তৈরি করে অর্থ দপ্তর। এ ব্যাপারে অর্থ দপ্তর সিদ্ধান্ত নেবে।
গত শুক্রবার বিভিন্ন শিল্পসংস্থার প্রতিনিধিরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধায়কে ফায়ার লাইসেন্স ফি কাঠামো নিয়ে আপত্তির কথা জানান। কয়েকজন এ ব্যাপারে ক্ষোভও জানান। মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের বলেন, আমি শুনেছি, ফায়ার লাইসেন্স ফি খুব বেড়ে গিয়েছে। আমি বিষয়টি দেখছি। এরপরই তিনি অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র এবং মুখ্যসচিব মলয় দে’কে বিষয়টি পর্যালোচনা করে সাত-দশদিনের মধ্যে ফি কমিয়ে নতুন ফি কাঠামো তৈরি করার নির্দেশ দেন। সেই মতো আলোচনা শুরু হয়েছে। অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র তাঁর দপ্তরের অফিসার এবং দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু ও তাঁর দপ্তরের অফিসারদের সঙ্গে একপ্রস্থ আলোচনাও করেছেন।
প্রাথমিকভাবে ঠিক হয়েছে, পুরনো করকাঠামো ফিরিয়ে আনা হবে। বর্গ ফুটের পরিবর্তে বর্গমিটার হিসেবে লাইসেন্স ফি নেওয়া হবে। স্বাভাবিকভাবে ফি’র পরিমাণ অনেক কমে যাবে। সেক্ষেত্রে ২০১৭ সালে যে হারে লাইসেন্স ফি নেওয়া হতো, তা থেকে সর্বাধিক ১০ বা ১৫ শতাংশ বাড়ানো হতে পারে। কিন্তু কখনই খুব বেশি বাড়বে না বলে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে। তবে চূড়ান্ত ফি কত হবে, তা কয়েকদিনের মধ্যেই ঠিক হয়ে যাবে। বর্তমান ফি’র তুলনায় তা অনেক কমবে বলে নিশ্চিত অফিসাররা। গ্রামীণ, পুরসভা এবং পুরনিগম এলাকার জন্য আলাদা ফি স্ট্রাকচার তৈরি হবে বলে জানা গিয়েছে।