বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
কিন্তু অন্যরকম চিত্র উত্তরবঙ্গে। জুলাই মাসে উত্তরবঙ্গে স্বাভাবিকের থেকে ২১ শতাংশ বেশি বৃষ্টি হয়েছিল। কিন্তু আগস্টে এখনও পর্যন্ত উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির ঘাটতি ৩৭ শতাংশ। মালদহ, জলপাইগুড়ি, উত্তর দিনাজপুরে তো ঘাটতি ৫০ শতাংশ ছাড়িয়েছে এই মাসে।
গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে আমন ধানের চাষ শুরু করা নিয়ে যে আশঙ্কা ছিল, গত কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টিতে তা কেটে গিয়েছে। ৯০ শতাংশের বেশি জমিতে ধানের চারা রোপণ হয়ে গিয়েছে বলে কৃষি দপ্তরের কাছে রিপোর্ট এসেছে। তবে কৃষি দপ্তরের আধিকারিকরা বলছেন, ধান চাষের জন্য এখনও নিয়মিত বৃষ্টি হওয়া প্রয়োজন গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে। বৃষ্টি না হলে চড়া রোদে মাঠ ফের শুকিয়ে যাবে। আগস্ট মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে ধানের চারা রোপণ করার পরামর্শ দেন কৃষি বিশেষজ্ঞরা। রোপণ পর্বের একেবারে শেষ লগ্নে ভালো বৃষ্টি গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে ধান চাষকে আপাতত সামাল দিয়েছে। কিন্তু চাষ প্রক্রিয়া মসৃণভাবে চালানোর জন্য বৃষ্টি অব্যাহত থাকা দরকার। কারণ আমন ধানের চাষ সাধারণভাবে সেচের উপর নির্ভর করে চালানো যায় না। আবার অতি বৃষ্টি হলেও ফলনের ক্ষতি হবে।
জুন ও জুলাই মাসে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে বৃষ্টি খুবই কম হয়েছিল। তাই বর্ষার মরশুমে সার্বিকভাবে বৃষ্টির ঘাটতি এই এলাকায় এখনও থাকছে। জুন মাস থেকে এখনও পর্যন্ত গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে স্বাভাবিকের থেকে ২৭ শতাংশ কম বৃষ্টি হয়েছে।
রাজ্যে প্রায় ৪২ লক্ষ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্র থাকে। শেষ সময়ে বেশি বৃষ্টি হওয়ার কারণে কিছু কৃষক আমন ধান চাষ আর নাও করতে পারেন বলে কৃষি দপ্তরের আধিকারিকরা মনে করছেন। লক্ষ্যমাত্রার থেকে পাঁচ শতাংশ কম জমিতে ধান চাষ সাধারণত হয়েই থাকে বলে তাঁরা জানিয়েছেন। এর মধ্যে অস্বাভাবিকতা কিছু নেই। এতে ধানের ফলনে বিশেষ কোনও ক্ষতি হবে না। যে জমিতে ধান চাষ করা গেল না, সেখানে কলাই, ডাল, তৈলবীজ প্রভৃতি চাষ করার সুযোগ রয়েছে।