গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
যদিও রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের একাংশ এর পিছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য খুঁজে পেয়েছে। তাদের বক্তব্য, সদ্যসমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গের আটটি আসনের মধ্যে একটিতেও জয়ের মুখ দেখেনি শাসকদল। কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী নিশীথ প্রামাণিক ভোটের কিছুদিন আগে জোড়াফুল শিবির থেকে পদ্মফুলে যোগ দেন। কোচবিহার শহরকে হেরিটেজ ঘোষণা করে তার কৌলীন্য বৃদ্ধির লক্ষ্যেই রাজ্য সরকার হাঁটল বলে মনে করছে আমলাদের গেরুয়া শিবির। কারণ, রাজ্য হেরিটেজ কমিশন আদতে সরকারের অধীনস্থ একটি সংস্থা। কোচবিহার শহরকে ঐতিহ্যশালী আখ্যা দেওয়া এলাকার বাসিন্দাদের আস্থা অর্জনের একটি পদক্ষেপ বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। অন্যদিকে, নদীয়াতেও তৃণমূলের আশানুরূপ ফল হয়নি। কৃষ্ণনগরে জিতলেও রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্র হারাতে হয়েছে। রানাঘাট কেন্দ্রের অধীনে রয়েছে নবদ্বীপ শহর। যা চৈতন্য মহাপ্রভুর স্মৃতিবিজড়িত ধর্মীয় স্থান হিসেবে বিখ্যাত। সেখানকার বাসিন্দা এবং দেশ-বিদেশ থেকে আসা পর্যটকদের কাছে বার্তা দিতেই নবদ্বীপকে হেরিটেজ শহরের তকমা দেওয়া হয়েছে।
রাজ্য বিজেপির এক শীর্ষ নেতা জানান, চৈতন্য মহাপ্রভুকে নিয়ে খোদ অমিত শাহ দলীয় স্তরে নানা কর্মসূচি নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গে প্রায় সমস্ত রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে শ্রদ্ধার সঙ্গে তিনি চৈতন্য মহাপ্রভুর নাম সচেতনভাবে উচ্চারণ করেন। মহাপ্রভুকে নিয়ে বিশেষ সেমিনার, গবেষণা সহ একাধিক পরিকল্পান রয়েছে গেরুয়া শিবিরের। জেলার বিজেপি নেতৃত্বকে ধর্মীয় এই আবেগকে আরও জোরালোভাবে ব্যবহার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে। বিষয়টি প্রতিপক্ষ ঘাস-ফুল শিবিরেও পৌঁছেছে। যার পাল্টা হিসেবে মহাপ্রভুর এই পবিত্র স্থানকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হল বলে মনে করছে প্রশাসনিক কর্তাদের একাংশ। স্বভাবতই দুই শহরকে হেরিটেজ তকমা দেওয়ার মধ্যে স্পষ্টই রাজনৈতিক অভিসন্ধি দেখতে পাচ্ছে গেরুয়া বাহিনী। এখন দেখার, রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্ত সংশ্লিষ্ট দুই শহরের সার্বিক বিকাশে অনুঘটকের কাজ করে কি না।