হঠাৎ জেদ বা রাগের বশে কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়া শ্রেয়। প্রেম-প্রীতির যোগ বর্তমান। প্রীতির বন্ধন ... বিশদ
সমবেত ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশে উপদেশের সুরে সংগঠনের প্রথম সাধারণ সম্পাদক তথা সিপিএমের বর্তমান পলিটব্যুরো সদস্য বিমানবাবু শনিবার বলেন, এখন দেশের যা অবস্থা তাতে এসএফআই’কে লড়াই-আন্দোলনের মাঠে থাকতে হবে সব সময়। আর তা থাকতে হলে সর্বাগ্রে ছাত্রছাত্রীদের ভালো মানুষ হতে হবে। মানুষের মতো দেখতে হলেই কেউ প্রকৃত মানুষ হয় না। তাই যদি হয়, তাহলে যারা আজ গণপিটুনি দিয়ে খুন করছে তারাও তো কলেবরে মানুষ। কিন্তু যে নির্মম ঘটনা তারা ঘটাচ্ছে, তাতে কি তাদের মানুষ বলা যায়? তিনি বলেন, অতীতেই এসএফআইয়ের যত গৌরব ছিল, আর এখন কিছু নেই— এমন ভাবনার কোনও কারণ নেই। অতীতে অনেক রাজ্যেই সংগঠন ছিল না। এখন সব রাজ্যেই কমবেশি সংগঠন তৈরি হয়েছে। আসলে ছ’য়ের দশকে গণ আন্দোলনের নানা ইস্যু থাকায় ছাত্র আন্দোলন দানা বেঁধেছিল। এমনকী, জরুরি অবস্থা জারির বিরুদ্ধেও এই সংগঠনই প্রথম প্রতিবাদ জানিয়েছিল।
৫০ বছর আগে এই দিনে দমদমেই সম্মেলন করে সংগঠনের পথ চলা শুরু হয়েছিল। তাই সুবর্ণ জয়ন্তীর সূচনা তারা এদিন করে দমদমের সুরের মাঠে অবস্থিত রবীন্দ্র ভবনে সভা করে। দুর্যোগের কারণে দুপুরের পর সভা শুরু হলেও তার আগে নাগেরবাজার থেকে বর্ণাঢ্য মিছিল করে সংগঠনের সমর্থকরা। সভায় উপস্থিত সমর্থকদের তরফে করা বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য হাজির ছিলেন অতীত দিনে সংগঠনের শীর্ষস্থানীয় নেতা হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া এমএ বেবি, একে বালন, এম বালাগোপাল, নেপালদেব ভট্টাচার্য, সুজন চক্রবর্তী, কল্লোল রায়, শমীক লাহিড়ি প্রমুখ। কংগ্রেস রাজত্বে, বিশেষ করে তাদের আনা নয়া শিক্ষানীতি ও উদারনীতির বাস্তবায়ন বা জরুরি অবস্থার কালো দিনগুলির মতো কঠিন সময়ে তাঁরা কীভাবে পরিস্থিতির মোকাবিলা করেছিলেন, সে সম্পর্কেই মূলত প্রশ্নগুলি করেন উপস্থিত ছাত্রছাত্রীরা। নিজেদের নানা অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন নেতারা সে সবের জবাব দিতে গিয়ে। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ময়ূখ বিশ্বাস এদিন ঘোষণা করেন, সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে গোটা দেশে এসএফআই সদস্য সংখ্যার টার্গেট করেছে ৫০ লক্ষ।