বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
অন্যদিকে, রাজ্যজুড়ে বন্যা নিয়ন্ত্রণের কাজে বিভাগীয় কর্তাদের সঙ্গে নিবিড় সমন্বয়ে আরও একটি অভিনব সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সেচমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। দপ্তরের শীর্ষ আমলা-চিফ ইঞ্জিনিয়ার থেকে এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার পদ-মর্যাদার অফিসারদের নিয়ে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ করেছেন মন্ত্রী। সেই গ্রুপের অন্যতম সদস্য খোদ মন্ত্রী। বন্যা নিয়ন্ত্রণের সঙ্গে যুক্ত রাজ্য থেকে জেলা পর্যায়ের অফিসারদের এখানে যুক্ত করা হয়েছে। বর্ষার মরশুমে রাজ্যের বিভিন্ন জেলার তাৎক্ষণিক পরিস্থিতি এবং ছবি এই গ্রুপে পোস্ট করা হয়। গুরুত্ব বিচার করে মন্ত্রী কিংবা শীর্ষ আমলারা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার নির্দেশও দিতে পারেন এই গ্রুপে। আগে বন্যার সময় আপদকালীন পরিস্থিতি বুঝে উঠতেই বহু সময় চলে যেত। মন্ত্রী-আমলাদের সঠিক তথ্য পরিবেশন করা হতো না। যার জেরে বন্যা নিয়ন্ত্রণে উপযুক্ত সিদ্ধান্ত নিতে বিলম্ব হতো। ফলে ভেসে যেত রাজ্যের বহু অংশ। আধুনিক প্রযুক্তিকে হাতিয়ার করে এবার সেই পরিচিত বানভাসি বাংলার চেহারা বদলে উদ্যোগী হয়েছে সেচ দপ্তর।
এদিকে, শুক্রবার সকাল থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টি ঘিরে এখনই আশঙ্কার মেঘ দেখছে না সেচ দপ্তর। সূত্রের দাবি, ১ জুন থেকে ১৬ আগস্ট পর্যন্ত সময়ে দক্ষিণবঙ্গে কাঙ্খিত বৃষ্টিপাত ৩৩ শতাংশ কম হয়েছে। স্বভাবতই রাজ্যের বিভিন্ন জলধারগুলির জলস্তর অনেক নীচে রয়েছে। নিম্নচাপের এই বৃষ্টির জেরে জলাধারগুলিতে জল বাড়বে। যা আগামীদিনে চাষের ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা নেবে বলে মনে করছেন নবান্নের কৃষি আধিকারিকরা। শুক্রবার থেকে মূলত দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি এবং কলকাতায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হয়েছে। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুসারে নিম্নচাপটি ক্রমশ পশ্চিমাঞ্চলের দিকে পা বাড়াচ্ছে। সেক্ষেত্রে রবিবার থেকে ওই এলাকায় বৃষ্টিপাত বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে, দক্ষিণবঙ্গের ওই এলাকায় নাগাড়ে বৃষ্টি হওয়ায় বৃহত্তর কলকাতা এবং সংলগ্ন কিছু জেলায় জল জমছে। সেচ দপ্তর সূত্রের দাবি, বিভাগীয় ন’টি পাম্প হাউস এবং একাধিক টেম্পোরারি পাম্প হাউসকে ইতিমধ্যেই সক্রিয় করা হয়েছে। যদিও গঙ্গার মুখে যেসব এলাকায় পাম্প হাউস নেই, সেখানে জল জমার সমস্যা রয়েছে। রবিবার থেকে বৃষ্টি কমতে শুরু করলে সেই সমস্যা অনেকটাই কমবে বলে সেচ দপ্তর সূত্রের দাবি।