পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
বিতর্কের মূলে তৎকালীন রাজ্য সরকার অনুমোদিত বিভিন্ন পিটিটিআই (প্রাইমারি টিচার ট্রেনিং ইনস্টিটিউট) থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা ২০০১ সালের ওয়েস্ট বেঙ্গল প্রাইমারি টিচার্স রিক্রুটমেন্ট রুলস অনুযায়ী বাড়তি ২২ নম্বর পাবেন কি না, সেই প্রশ্নে। কারণ, ওই প্রতিষ্ঠানগুলি রাজ্য সরকার অনুমোদিত হলেও এনসিটিই (ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচার এডুকেশন) অনুমোদিত নয়। এই বিতর্কে কলকাতা হাইকোর্টে একের পর এক মামলা হয়। শেষে কেন্দ্রীয় ও রাজ্যের আইনি ব্যবস্থায় সঙ্ঘাত দেখা দিলে ওই প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের অযোগ্য ঘোষণা করে হাইকোর্ট। সেই সূত্রে ওই প্রার্থীরা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন।
এই বছরের ২৪ জানুয়ারি উপরোক্ত বেঞ্চ জানায়, রাজ্য সরকার অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষণ নেওয়ার জন্য মামলাকারীদের দোষারোপ করা যায় না। সেই সূত্রে নির্দেশ দেওয়া হয়, ১) এমন প্রশিক্ষণের শংসাপত্র যাঁদের আছে এবং যাঁরা ২০১০ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে আইনি বিচার প্রার্থনা করেছিলেন, তাঁরাই ওই অতিরিক্ত নম্বর পাবেন। ২) ২০০৬ সালে যে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়ে ২০০৯-১০ সালে পরিণতি প্রাপ্ত হয়, সেখানে মামলাকারীদের ওই অতিরিক্ত নম্বর দেওয়ার পর প্রাথমিক শিক্ষক পদের প্যানেল আবার বানাতে হবে। ৩) তবে এর জন্য যাঁরা ইতিমধ্যেই নিয়োগ হয়েছেন, তাঁদের চাকরিতে হস্তক্ষেপ না করে রায় ঘোষিত হওয়ার দিন থেকে তিন মাসের মধ্যে মামলাকারীদের নিয়োগপত্র দিয়ে দিতে হবে। ৪) মামলাকারীদের জন্য দরকারে পদ তৈরি করতে হবে। যা ভবিষ্যতের শূন্যপদের সঙ্গে মিলিয়ে দিতে হবে।
ওই রায় বর্তমান রাজ্য সরকার পুনর্বিবেচনার আবেদন করেছিল সুপ্রিম কোর্টের একই বেঞ্চে। কিন্তু, আবেদনটি খারিজ হওয়ায় মামলাকারীদের চাকরি দেওয়া ছাড়া অন্য পথ নেই বলে মনে করা হচ্ছে।