কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
ওই চিঠির বিষয়বস্তুর উল্লেখ করে শুক্রবার দেবব্রতবাবু বলেন, গুমনামি বাবাকে নেতাজি বলে চালানোর জন্য কিছু স্বার্থান্বেষী মানুষ অনেক দিন ধরেই চেষ্টা চালাচ্ছেন। অথচ ফৈজাবাদের ওই বিতর্কিত সাধু আদৌ নেতাজি ছিলেন বলে কোনও বৈজ্ঞানিক বা প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ান সংক্রান্ত নিশ্চিত প্রমাণ মেলেনি এখনও। বাজপেয়ি সরকারের আমলে গঠিত মুখার্জি কমিশন এ ব্যাপারে ডিএনএ পরীক্ষারও ব্যবস্থা করে। কিন্তু তার রিপোর্টেও কোনও ইতিবাচক বিষয় বেরিয়ে আসেনি এ বিষয়ে। একইভাবে উত্তরপ্রদেশে অখিলেশ যাদবের সরকার বিশেষ তদন্ত কমিশন বসিয়েও এ বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি। এসব সত্ত্বেও নেতাজির মতো বিশ্বখ্যাত একজন মানুষকে নিয়ে স্বার্থান্বেষী মহল তাদের মিথ্যা প্রচার থেকে বিরত থাকেনি। এই ভাবধারার মানুষকে আরও উৎসাহিত করবে সৃজিতের এই ছবি। ওঁর এই ছবি করা নিয়ে আগেই আপত্তি উঠেছিল। কিন্তু সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমের মারফত স্পষ্ট হয়েছে, সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে এই ছবি পুজোর আগেই বাজারে মুক্তি পাবে। এই ছবি মুক্তি পেলে বাংলার জনমানসে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া তৈরি হবে। নেতাজির আবেগ নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে গেলে আইনশৃঙ্খলার সমস্যাও তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এসব কথা চিন্তা করেই আমি এই প্রকল্প থেকে বিরত থাকার জন্য সৃজিত এবং প্রযোজককে আইনজীবীর চিঠি দিয়েছি। কিছুদিনের মধ্যে ওঁরা যদি এ নিয়ে কোনও পদক্ষেপ না করেন, তাহলে হাইকোর্টে মামলা করতে বাধ্য হব। দেবব্রতবাবু আরও জানান, তিনি একই মর্মে সৃজিতদের এই ছবিকে যাতে সবুজ সঙ্কেত না দেওয়া হয়, সেজন্য সেন্সর বোর্ডের চেয়ারম্যানকেও অনুরূপ চিঠি দেওয়া হয়েছে।
তাঁর পুরনো দলের এই যুবনেতার উদ্যোগকে বসু পরিবারের তরফে স্বাগত জানিয়েছেন নেতাজির সম্পর্কে নাতি তথা বিজেপির রাজ্য সহ-সভাপতি চন্দ্রকুমার বসু। তিনি এদিন বলেন, পরিবারের তরফে আমরা আগেই সৃজিতের এই ছবি নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিলাম। ওঁর সঙ্গে মুখোমুখি বসে আলোচনাও করেছিলাম। কিন্তু উনি আমাদের সেই আপত্তিকে যে কর্ণপাত করেননি, সেটা বোঝা যাচ্ছে। যাই হোক, দেবব্রত বিষয়টি এবার আইনি রাস্তায় নিয়ে যাচ্ছে। তাকে আমরা পরিবারের তরফে স্বাগত জানাচ্ছি। প্রয়োজনে আমরা সেই মামলায় সাক্ষ্য দিতেও প্রস্তুত আছি। তবে সেন্সর বোর্ডকে আমরাও পরিবারের তরফে চিঠি দিচ্ছি উপযুক্ত পদক্ষেপের জন্য। উকিলের চিঠি প্রসঙ্গে ভেঙ্কটেশ ফিল্মস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, চিঠি এখনও তারা হাতে পায়নি। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় তার বিষয়বস্তুর কথা জেনেছে তারা। চিঠি পেলে তারা এ নিয়ে তাদের পদক্ষেপের কথা চিন্তা করবে। সৃজিত এ ব্যাপারে বলেন, এখনও পর্যন্ত চিঠি পাইনি। পেলে আমার উকিলই তার জবাব দেবেন।