কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
সম্প্রতি রিমা দত্ত নামে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষক এই নম্বরে ফোন করে পিজি’র মতো হাসপাতালে ভর্তি করাতে পেরেছেন স্টেজ-৪ লিভার ক্যান্সারে আক্রান্ত তাঁর জেঠিমাকে। সপ্তগ্রামের ইমাদুর রহমানের শ্বশুরমশাইয়ের চিকিৎসায় চুঁচূড়া ইমামবাড়া হাসপাতাল বিশেষ পাত্তাই দিচ্ছিল না বলে অভিযোগ। উল্টে তাঁর স্ত্রী বাবার চিকিৎসা ঠিকমতো করতে হাসপাতালের নার্সদিদিকে অনুরোধ করলে, বিনিময়ে মিলেছিল মুখঝামটা। ‘দিদিকে বলো’তে ফোন করেন ইমাদুর সাহেব। সতর্ক করা হয় ইমামবাড়া হাসপাতালের সুপারকে। মুখ্যমন্ত্রীকে অভিযোগ জানানোর টোল ফ্রি নম্বরে এক ফোনের ঠেলায় তাঁর শ্বশুরকে ঠিকঠাক চিকিৎসা দেওয়ার জন্য এখন ছোটাছুটি পড়েছে ইমামবাড়ার ওয়ার্ডে। পাশাপাশি সহায়সম্বলহীন যক্ষ্মা আক্রান্ত এক ব্যক্তির জন্য এই নম্বরে ফোন করার পর তাড়াতাড়ি রোগী ভর্তির ব্যবস্থা করা গিয়েছে মেডিক্যাল কলেজের মতো বড় হাসপাতালে। এই নম্বরে ফোন করা মানুষজন বলছেন, একবার যদি লাইন পাওয়া যায়, পরের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে প্রায় সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাচ্ছে। এককথায় অভাবনীয়।
শুক্রবার সন্ধ্যায় রিমা বললেন, পিজিতে জেঠিমার জন্য বেড পেতে দু’মাস চক্কর কেটেছি। কেউ বলেছেন, এক সপ্তাহ পরে আসুন। কেউ বলেছেন, বুঝতেই তো পারছেন, এত ভিড়, কী করব আমরা! শেষমেশ অনেক ধরাকরা করে শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালে ভর্তি করাই। কিন্তু, চিকিৎসাই হচ্ছিল না। কী করে হবে? ওখানে ক্যান্সারের বিভাগ আছে নাকি! কী মনে করে গত ৫ আগস্ট দিদিকে বলো’র নম্বরে ফোন করি। বিরাট কিছু প্রত্যাশাও রাখিনি। কত মানুষই তো প্রতিশ্রুতি দেন। কাজ কতটা হয়! এক্ষেত্রে কিন্তু অবাক হয়ে গেলাম। জেঠিমাকে নিয়ে যখন নাজেহাল অবস্থা, ওইদিনই রাত সাড়ে আটটা নাগাদ ফোন এল। পিজি’র সুপারের সঙ্গে দেখা করতে বলল ‘দিদিকে বলো’র অফিস। গিয়ে কাজ হল। দু’মাসে যা হয়নি, তিনদিনের মধ্যে জরুরি অপারেশন পর্যন্ত হল জেঠিমার।
হাওড়ার ৪৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা জগন্নাথ চক্রবর্তী বলেন, চন্দ্রনাথ মিশ্র নামে এক সহায় সম্বলহীন লোকের টিবি’র চিকিৎসার জন্য কোথায় না কোথায় ঘুরেছি। পাকাপাকি বাসস্থান না থাকায় ওঁর চিকিৎসা মিলতে খুব সমস্যা হচ্ছিল। দিদিকে বলো’র নম্বরে ফোন করার পর একটা আইডি নম্বর দেয় ওরা। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ফিডব্যাক কল। তারপর সোজা মেডিক্যালে ভর্তি। দারুণ চিকিৎসাও হল ছেলেটার।