পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
শহরকে কীভাবে সুন্দর করে তোলা হয়েছে, তার নেপথ্য গল্পও এদিন জনতাকে শুনিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এটা কি শুধু পুরসভা করেছে? না, একদম ভুল কথা। তিনি বলেন, কোথাও পূর্ত, কোথাও কেএমডিএ, আবার কোথাও পুরসভার রাস্তা। এ বলে ওরটা আমি করব কেন, ও বলে ওটা আমার দায়িত্ব নয়। শুধুমাত্র জেমস লং সরণী মেরামত করতে গিয়েই বুঝেছিলাম, ঝক্কি কাকে বলে! শহর কেন সুন্দর লাগছে দেখতে জানেন? কারণ ১০টা দপ্তরকে একসঙ্গে জুড়ে এসব কাজ করিয়েছি। তারই ফলস্বরূপ সেজে উঠছে শহর। তবে বেহালার উন্নয়নের জন্য আরও কিছু কাজ যে বাকি রয়েছে, তাও এদিন স্পষ্ট করে দেন মমতা। বলেন, শহরের অন্য প্রান্তের মতো এখানে রাস্তার মাঝের ডিভাইডারকে ঘিরে সৌন্দর্যায়ন চলবে। জোকা সহ আরও কয়েকটি অংশে পানীয় জল ও নিকাশি নিয়ে কাজ হবে। কিন্তু যতক্ষণ না মেট্রোর কাজ শেষ হচ্ছে, তা করব কী করে! আজ করব, কাল তো প্রয়োজনে আবার ভাঙতে হবে। তাই অপেক্ষা করছি। আগামী দেড়-দু’বছরের মধ্যে মেট্রোর কাজ শেষ হলে, সৌন্দর্যায়ন পূর্ণাঙ্গ আকার পাবে এলাকায়। এরই পাশাপাশি তাঁর সরকারের আমলে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, সমাজ সংস্কার সহ জনহিতের নানা প্রকল্প কী ভাবে রূপায়ণ করতে হয়েছে, তার বিবরণ দেন মমতা।
মমতা বলেন, ইদানীং নানাভাবে জাতপাত, ভেদাভেদ, তুমি ব্রাহ্মণ, তুমি দলিত, তুমি সাদা, তুমি কালো এসব মাথায় ঢুকিয়ে দেওয়ার মরিয়া চেষ্টা শুরু হয়েছে। এই বাংলা যে শিক্ষা আমাদের দিয়েছে, তা জাগরণের ও স্বাধীনতার। শিখিয়েছে দেশপ্রেম। এসব গুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এই বাংলা সমাজ সংস্কারক। সতীদাহ প্রথা আর বাল্য বিবাহ বন্ধ আর বিধবা বিবাহ চালু করার মতো সংস্কার করে রামমোহন রায় আর ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর পথ দেখিয়ে ছিলেন গোটা দেশকে। এই বাংলার প্রাদেশিক আইনসভা বিল পাশ করিয়েছিল সতীদাহ প্রথা রোধে। এসবই বাংলার গর্বের সম্পদ।
প্রত্যয়ী মমতার কথায়, দেশপ্রেম কারও কাছে শিখব না। এই শিক্ষা নিয়েই বড় হয়েছি। দেশমাতৃকাকে কীভাবে পুজো করতে হয়, তাও শিখব না কারও কাছে। দেশপ্রেমের বীজ বপন হয় জন্মলগ্ন থেকেই। সেটাই বাংলার ঐতিহ্য, সভ্যতা আর সংস্কৃতি। এই সভ্যতা আর সংস্কৃতি কোনওভাবেই নষ্ট হতে দেব না। বেহালার অনুষ্ঠান শেষে দক্ষিণ কলকাতার হাজরায় স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের অপর একটি অনুষ্ঠানেও অংশ নেন মুখ্যমন্ত্রী।