বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
এদিন যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে কংগ্রেস তথা বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান এবং বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তাতে সকালে যিনি তৃণমূল, বিকেলেই তিনি বিজেপি। আবার মাঝেমধ্যে দু’-একটা উলটপুরাণও ঘটছে। আসলে দু’টি দলের বাড়ি একটাই। শুধু ভিতরে আসা-যাওয়ার দু’টি দরজা আলাদা। মুখ্যমন্ত্রীর পর তৃণমূলে যিনি দু’নম্বর ব্যক্তি বলে পরিচিত ছিলেন, তিনি বিজেপির ঘর আলো করেছেন। মুখ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ ছাত্রনেতা একই পথ নিয়েছেন। একদা তাঁকে ‘জঙ্গলমহলের মা’ সম্বোধনকারী পুলিশ কর্ত্রী গেরুয়া চাদর জড়িয়ে নিয়েছেন গায়ে। এবার তাঁর সাধের কাননও বাগান বদল করে বিজেপিতে ভিড়লেন। আসলে বাংলার মানুষ বুঝতে পারছে কারা, কী উদ্দেশ্যে এই বড় মাপের নেতানেত্রীদের বিজেপিতে পাঠাচ্ছেন। বিজেপির বিরুদ্ধে মুখে বড় বড় কথা বলে সংসদে কাশ্মীর ইস্যুতে নরেন্দ্র মোদি সরকারের আনা বিলের উপর ভোটাভুটির সময় কেন ওয়াকআউটের নামে আসল বিরোধিতা এড়িয়ে গেল তৃণমূল, সে সব এখন আরও স্পষ্ট হচ্ছে।
টালিগঞ্জ থানায় ঢুকে পুলিসকে পেটানোর ঘটনায় চেতলার তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের জড়িয়ে পড়ার ঘটনা নিয়েও শাসক দলকে এদিন কাঠগড়ায় তোলেন মান্নান-সুজন। তাঁরা বলেন, ক্ষমতায় আসার আগে মুখ্যমন্ত্রী একদা প্রকাশ্য জনসভায় বলেছিলেন যে তিনি গুন্ডা কন্ট্রোল করেন। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, সেই গুন্ডারাই এখন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছে। তারা পুলিসকে শুধু পেটাচ্ছে না, খুন পর্যন্ত করছে। অথচ পুলিস খুনের আসামিরা দিব্যি খালাস পেয়ে যাচ্ছে। এক চরম অরাজকতা চলছে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে। সবচেয়ে বড় কথা, পুলিস পেটানো নিয়ে মন্ত্রীরা যেভাবে পরস্পরবিরোধী মন্তব্য করছেন, তাতে এই অরাজক অবস্থা আরও প্রকট হচ্ছে। আগামী ২৬ তারিখ থেকে শুরু হতে চলা বিধানসভার অধিবেশনে আমরা এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রীর জবাবদিহি চাইব।
উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়া ও সংলগ্ন এলাকায় ডেঙ্গুর প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ার ব্যাপারেও এদিন দুই বিরোধী নেতা এক হাত নেন মমতার প্রশাসনকে। তাঁরা বলেন, হাবড়া, অশোকনগর, বনগাঁ, দেগঙ্গা সহ গোটা এলাকায় হু হু করে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও। অথচ প্রতিরোধে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না করে সেই পুরনো কায়দায় হেঁটে প্রশাসন ডেঙ্গুর ঘটনা চেপে যাওয়ার কাজে বেশি তৎপর হয়েছে। এলাকার মানুষের মধ্যে চরম আতঙ্ক কাজ করছে এখন। কিন্তু প্রশাসনের তাতে কোনও হেলদোল নেই। উল্লেখ্য, মান্নান এদিন এ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে একটি চিঠিও দিয়েছেন।