পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
কন্যাদের ক্ষমতায়ন সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের সাফল্যের জেরে কৃষ্ণনগরে বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করছে মমতার সরকার। নাম দেওয়া হয়েছে কন্যাশ্রী বিশ্ববিদ্যালয়। আরও এক ধাপ এগিয়ে এবার জেলায় জেলায় কন্যাশ্রী কলেজ তৈরির কথা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিনের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীর আসার কথাও ছিল না। কিন্তু শেষ মুহূর্তে সেই অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে চমক দিয়েছেন সবার প্রিয় ‘দিদি’। কন্যাশ্রীর সঙ্গে তাঁর আবেগ জাড়িয় আছে। তাই অনুষ্ঠানে না এসে থাকতে পারলেন না তিনি। তবে অনুষ্ঠানে তাঁর বক্তব্যে নতুন কী ঘোষণা হয়, সেদিকেই চেয়ে ছিলেন কয়েক হাজার ছাত্রী। বক্তব্যের একেবারে শেষ লগ্নে এসে জানিয়ে দিলেন কন্যাশ্রী কলেজ তৈরি নিয়ে নিজের পরিকল্পনা।
এদিকে, ছোট ছোট মেয়েদের জীবনে এগিয়ে চলা নিয়েও নানা পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর বার্তা, পিছনের দিকে তাকাতে হবে না। পিছনে তাকানো মানেই মৃত্যু। সবসময় এগিয়ে যেতে হবে। ঘৃণা-দুর্বলতা যে মানুষের সবচেয়ে বড় শত্রু, সে কথাও মনে করিয়ে দেন তিনি। জীবনে হতাশ হওয়ার থেকে বিরত থাকারও কথা বলেন তিনি। এইরকম পরিস্থিতি কাটিয়ে ওঠার কী উপায়, তার দাওয়াই শোনা গেল মুখ্যমন্ত্রীর গলায়। তিনি বলেন, মন যদি খারাপ হয়, তাহলে আঁকিবুকি করুন, রাস্তায় হাঁটুন। যা মনে আসে তা লিখুন। কিন্তু হতাশ হবেন না।
এসবের পাশাপাশি, বাংলা এবং ইংরেজির মধ্যে ভেদাভেদ যাতে না করা হয়, সেই কথাও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর স্পষ্ট কথা, মাতৃভাষাকে ভালোবাসতে হবে। আমি বাংলার মানুষ, এটা বলব, অথচ বাংলায় কথা বলব না, তা ঠিক নয়। তাছাড়া ইংরেজি মাধ্যমে যে পড়ে সে উঁচুতে এবং বাংলা মাধ্যমে যে পড়ে সে নীচে রয়েছে, তা ভাবার কোনও কারণ নেই। এমন ভাবনার প্রশ্রয় না দেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। এদিনের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও হাজির ছিলেন নারী, শিশু ও সমাজকল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী শশী পাঁজা, সচিব সঙ্ঘমিত্রা ঘোষ, স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, বিধায়ক তথা রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের সভাপতি নির্মল মাজি সহ অন্যরা।
এদিনের অনুষ্ঠানে কন্যাশ্রী প্রকল্প রূপায়ণে সফল স্কুল, কলেজ এবং জেলাকে পুরস্কৃত করা হয়। যে তিনটি স্কুলকে সম্মানিত করা হয়েছে, সেগুলি কলকাতার। অন্যদিকে, কলেজগুলির মধ্যে রয়েছে কাশেশ্বরী, যোগমায়াদেবী এবং বিবেকানন্দ কলেজ ফর উইমেন। তাছাড়া উত্তরবঙ্গের তিনটি জেলাকে এই কাজের জন্য স্বীকৃতি দেওয়া হল। সেগুলি হল, কোচবিহার, কালিম্পং এবং জলপাইগুড়ি। বিশেষ অবদানের জন্য নদীয়া এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনাকেও সম্মান জানানো হয়। বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য বেশ কিছু ছাত্রীকেও এদিনের অনুষ্ঠানে সম্মান জানানো হয়।